বাঙালির কিংবদন্তী জুটি উত্তম কুমার সুচিত্রা সেনের প্রেম নিয়ে এখনো মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। চায়ের আড্ডায় দুইজনের জন্মদিন এবং মৃত্যু দিনে ঘুরে ফিরে আসে এই গাল গল্প। দুজনই প্রয়াত এরপরো ভক্তরা জানতে চান আসলে কি ঘটেছিল।
১৯৫৩ সালে মুক্তি পেয়েছিলো উত্তম-সুচিত্রা জুটির প্রথম ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। প্রথম ছবিতেই হিট উত্তম সুচিত্রা জুটি। তারপর আর যায় কোথায়? প্রযোজক পরিচালকরা ভিড় জমালেন উত্তম সুচিত্রার কাছেই। একর পর এক ছবি করার সুবাদে উত্তম-সুচিত্রার সখ্যতা বাড়লো। কিন্তু তাদের এই সখ্যতা কাল হয়ে উঠলো সুচিত্রার স্বামী দিবানাথ সেনের কাছে। আর তা আঁচ করতে পেরে ১৯৫৪ সালেই দীবানাথ সুচিত্রাকে চাপ দিলেন অভিনয় ছেড়ে দিতে। কিন্তু যার রক্তে তখন অভিনয় মিশে গেছে সে কি আর অভিনয় ছাড়ে! স্বামীর বৈরি মনোভাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই উত্তমের সঙ্গে অভিনয় করে গেলেন সুচিত্রা সেন। আর হ্যা, স্বামী দীবানাথের মতো ঐ একই বছর উত্তম সুচিত্রার ভক্তরাও ভাবতে লাগলো বাস্তবেই উত্তম সুচিত্রা প্রেমিক যুগল।
কারণ ঐ একই বছর মুক্তি পায় তাদের অভিনীত ৬টি ছবি। জীবন ঘনিষ্ঠ অভিনয়ই ভক্তদের ভাবতে সহায়তা করেছিল উত্তম সুচিত্রার প্রেমের গুঞ্জনের খবর। যে মিথের জন্ম হয়েছিল আজ থেকে ৬১ বছর আগে সেই মিথের অবসান শেষ হয় নি আজো। তবে এই মিথের আগুনটা উস্কে দেওয়ার ব্যাপারে সুচিত্রার ভূমিকাও কম ছিলো না। ওই বছরেই মুক্তি পাওয়া ‘অগ্নি পরীক্ষা’ ছবির পোস্টারে সুচিত্রার স্বাক্ষরসহ লেখা ছিলো ‘আমাদের প্রণয়ের স্বাক্ষী হলো অগ্নি পরীক্ষা’।
উত্তর কুমারের ভাই আরেক অভিনেতা তরুণ কুমার অবশ্য তার জীবদ্দশায় বলে গেছেন, তার উত্তম এবং সুচিত্রার মধ্যে কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। ছিল ভাল বন্ধুত্ব।
অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, তাদের দুজনের মধ্যে কোন সময়ই প্রেমের সম্পর্ক ছিলনা। যদি থাকত তাহলে তা আমি জানতাম। কারণ, তাদের দুজনের সঙ্গেই আমার ভাল সম্পর্ক ছিল।
সুপ্রিয়া দেবী বলেছেন, তাদের দুজনের আচরণ বিশেষ করে সুচিত্রার আচরণের কারণে অনেকেই মনে করত যে এদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
ঠিক কি কারণে সুচিত্রা সেন এমন আচরণ করতেন যা দেখে মনে হয় যে, তারা দুজনে প্রেমে পড়েছেন। এটা এখন আর জানার উপায় নেই। কেননা, বাঙালির প্রিয় মহানায়ক এবং মহানায়িকা এখন সবার ঊর্ধ্বে চলে গেছেন।
তবে, তারা বাঙালির হৃদয়ে রেখে গেছেন হৃদয়গ্রাহী অনেকগুলো প্রেমের সিনেমা। যা এখনো দেখে দেখে প্রেমের সুখানুভুতি খুঁজে ফিরে ভক্তরা।
সময়ের গন্ডিতে এখনো প্রেমময় উত্তম-সুচিত্রা যুগল।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা