যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, আর্লিংটনের (ইউটিএ) সহায়তায় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) নিজস্ব ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় একটি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের। এতে উপস্থিত ছিলেন ইউটিএর প্রেসিডেন্ট ড. ভিসতাসপ এম. কারভারী।
গত শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘রি-ইনভিশনিং হায়ার এডুকেশন ইন অ্যান ইরা অব টেকনোলজি কনভারজেনস’ শিরোনামে এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। তিনি তাঁর বক্তৃতায় তিনটি বিষয়ে প্রস্তাবনা করেন। ১) সরকারের আইসিটি, আইইউবি এবং ইউটিএ’র মধ্যে ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি, ২) বড় পরিসরে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন, এবং ৩) উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিদেশে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যেন ফিরে এসে এদেশেই কাজে নিয়োজিত হতে পারে, সেরূপ কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের তৈরি ‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলো’ শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়
অনুষ্ঠানে ইউটিএর ভাইস প্রোভোস্ট ড. প্রাণেস অশ্বথ, আইইউবি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জনাব এ মতিন চৌধুরী, আইইউবি’র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ড. ভিসতাসপ এম. কারভারী বলেন, উচ্চশিক্ষার বিষয়ে ধারণা বর্তমানে আমূল বদলে যেতে শুরু করেছে। ‘জ্ঞান সৃষ্টি’র ধারাটি বর্তমানে নতুন মোড় নিচ্ছে। কিভাবে শিক্ষা গ্রহণ পদ্ধতিকে উপযুক্ত করা যায় যা এবং যথাযথ ও কার্যকর জ্ঞান সৃষ্টি’র নিয়ামক- নতুন এই ধারাটিই উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছে।
তিনি বলেন, প্রথাগত ক্লাসরুমের বাইরে গিয়ে শিক্ষাদান, দীর্ঘস্থায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের উন্নয়ন সাধন এবং সমাজের কাজ করা একটি ভালমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। একইসাথে ড. কারভারী জোর দেন, শিক্ষার্থীর শিক্ষাগ্রহণের দক্ষতার ওপর যেন তারা সঠিক ক্যারিয়ার বেছে নিতে পাওে, যেন সে বিশ্বকে সাহায্য করতে পারে, সমাজে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে, নেতৃত্ব দেয়ার গুণ লাভ করে এবং উদ্ভাবনী গবেষণায় নিয়োজিত থাকতে পারে যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বর্তমান প্রজন্মকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।
জনাব এ মতিন চৌধুরী নিত্য-নতুন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দেন।
মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা কেন অপরিহার্য, তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক মিলান পাগন। তিনি বলেন, মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ শিল্পের চাহিদা সম্পন্ন যোগ্য ব্যক্তি গড়ে তোলা যেন সে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে গিয়ে যেকোন সমাজকে সহায়তা করতে পারে।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউটিএ’র অ্যালামনাই মুস্তাক আহমেদ।
ইউটিএ প্রতিনিধি দল আইইউবি-তে দুই দিনব্যাপি কর্মসূচির প্রথম দিনে সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯ তারিখে আইইউবি’র ট্রাস্টি বোর্ড এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বি-পাক্ষিক ওই বৈঠকে একটি নতুন শিক্ষা পদ্ধতি সহ ইউটিএ এবং আইইউবি’র সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি নিয়ে বেশ কয়েকটি বিষয়ে একমত হন যেন সেগুলি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে এগিয়ে যেতে সহায়ক হয়। আইইউবি’র সম্মানিত ট্রাস্টিবৃন্দ, ইউটিএ’র প্রেসিডেন্ট ড. ভিসতাসপ এম. কারভারী, ইউটিএ’র ভাইস প্রোভোস্ট ড. প্রাণেস অশ্বথ, আইইউবি’র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মিলান পাগন, ডিন, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
NB:This post is copied from https://www.kalerkantho.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা