ঈশ্বরগঞ্জে পথরোধ করে নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ,গ্রেফতার ১

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ঃ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ভ্যান গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার সময় পথরোধ করে এক নারী (৪৫)কে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম নারীর দেখানো মতে শহীদ মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার পর ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার কমুড়িয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভিকটিম,স্থানীয় এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়,কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার বাসিন্দা ঘটনার শিকার ওই নারী করোনা মহামারীর আগে ঢঙ্গীতে থাকা মেয়ের বাসায় অবস্থান করায় চারদিকে লকডাউন থাকায় তিনি অনেক চেষ্টা করেও গ্রামের বাড়ি যেতে না পারায় সেখানেই আটকা পড়েছিলেন।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল)সকালে ঢঙ্গীতে থাকা মেয়ের বাসা থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কিছু সময় হেঁটে ও অনেক সময় অটো-সিএনজি করে ময়মনসিংহ পর্যন্ত পৌছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। পরে তিনি আবারও হেঁটে রওনা হয়ে পথে একটি ইজিবাইকযোগে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদরে আসেন। সেখান থেকে অন্য এক কিশোরের সাথে একটি ভ্যান গাড়িতে করে নান্দাইল চৌরাস্থা যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে রাত প্রায় ১০ টার পর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের লক্ষ্মীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৪/৫ জন ব্যক্তি পথরোধ করে তাঁকে জোরপূর্বক তুলে সড়কের পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে একজন ধর্ষণ করে চলে যায়। পরে আরো অন্যরা আসতে থাকলে চিৎকার দেন তিনি। এ অবস্থায় সকলেই দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে এসে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানালে তিনি ভিকটিমের বর্ণনা মতে অভিযুক্তদের চিনতে পেরে পুলিশে খবর দেন। এর আগেই ধর্ষিতা নারীর দেখানো মতে শহীদ নামে একজনকে আটক করে রাখে এলাকাবাসী। পরে শহীদের স্বীকারোক্তিতে আর তিনজনের নাম পাওয়া যায়।

ভিকটিম আরো জানান, ওই ব্যক্তিরা তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।

স্থানীয় মাইজবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, ‘ধর্ষণের পর ওই নারীর বর্ণনা মতে সকলকেই চিহ্নিত করা গেছে। তারা সকলেই মাদকাসক্ত ছাড়াও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের গ্রেফতারে সহযোগিতা করা হবে।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, ‘এ ঘটনার মূলহোতাসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’