অনলাইন ডেস্ক
এমন অবস্থায় রাজধানীতে ঈদুল আজহার প্রথমার্ধ কাটে ব্যস্ততায়। কোরবানির পশু জবাই, মাংস কাটা, বিলি করা এবং রান্নায় দুপুর গড়িয়ে যায় নগরবাসীর।
কর্মব্যস্ত এমন দিনের শেষে মানুষ খোঁজে একটু স্বস্তি, নিতে চায় প্রাণভরে নিঃশ্বাস। তাই সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়তেই হাতিরঝিলে ঈদ আনন্দ করতে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ।
পুরান ঢাকার ওয়ারি থেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছিলেন দুই বন্ধু পাভেল ও রিয়াজ। কোরবানির মাংস কাটাকাটির পর বিকেলে খোলা আকাশের নিচে নিজেদের মতো দিচ্ছিলেন আড্ডা।
রিয়াজ বলেন, ‘সারা দিন তো ঘরেই ছিলাম। তাই একটু বের হইছি। বাড়ি থেকে বের হলেই হাতিরঝিল। বাইক নিয়া একটু মজা কইরা চালান যায়।
‘তবে বেশি দূরে যাওয়া হয় না; লকডাউন তো। তাই একটু এইখানে এসে আড্ডা দিতাছি।’
মা-বাবার সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন কলেজ শিক্ষার্থী সাদমান। তিনি বলেন, ‘হাতিরঝিল হচ্ছে ঢাকা শহরের মধ্যে খুব সুন্দর জায়গা। আর আমার বাসা যেহেতু বাড্ডা, কাছাকাছি হওয়ায় প্রায়ই আমরা সবাই এইখানে ঘুরতে আসি।’
বিকেল হতেই মানুষের উপস্থিতি যে বাড়বে এটা জানতেন বেলুন বিক্রেতা রুবেল। তাই শিশুদের জন্য রঙিন বেলুন নিয়ে হাতিরঝিলে আসেন তিনি। লকডাউনের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন রুবেলের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাই ঈদে বিক্রিটা একটু বাড়িয়ে নিতে চান তিনি।
রুবেল বলেন, ‘মামা আমাগো দেহনের কেউ নাই। আল্লায় দ্যাহে না। হারা দিন চাইর শ টেকা বেচছি। আজইকা কোরবানির ঈদ, হের লাইগা বেচাকেনা নাই। ঈদেরতে পরের দিন বেচাকিনা ভালো হইব।’
কোরবানির ব্যস্ততা শেষে কিছুটা স্বস্তির খোঁজে অনেকে এখানে আসলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষই ছিলেন উদাসীন। সামাজিক দূরত্ব মানেননি কেউ। মাস্ক থাকলেও তা যেন ছিল অনেকটা লোক দেখানো।
শুধু হাতিরঝিল নয়, ঈদ আনন্দে বিকেলে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে রাজধানীর অন্য উদ্যানগুলোও। ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর থেকে শুরু করে ঢাকার উত্তরা, মিরপুর, বনানী, গুলশান, বসুন্ধরা, বারিধারাতে বিকেলের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে জনসমাগম।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা