অনলাইন ডেস্ক
দেশের লাইফলাইন খ্যাত এই মহাসড়কে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ফেনীসহ প্রায় ১০ জেলার মানুষের যাতায়াত। এসব মানুষের ঈদে বাড়ি ফেরাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২০৬ কিলোমিটার কুমিল্লা রিজিয়নের অংশ। এই অংশটিতে যানজটমুক্ত ও নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। এই ২০৬ কিলোমিটার অংশের মোট ২৬টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত এসব পয়েন্টের মধ্যে ১২টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং ১৪টি পয়েন্টকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি থানা রয়েছে। সব থানার ওসিরা সম্মুখ সারিতে থেকে মানুষের ঈদযাত্রাকে ভোগান্তিমুক্ত রাখতে মহাসড়কে থাকবেন। ওসিদের নেতৃত্বে ৬৮০ জন পুলিশ ও ৩৫০ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য সার্বক্ষণিক মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মহড়া দেবে।
কুমিল্লা রিজিয়নে হাইওয়ের দুটি সেক্টর ও ২১টি সাব সেক্টর থাকবে। ৩৪টি মোবাইল ডিউটি, ১৫টি পিকেট ডিউটি, ১৫টি কুইক রেসপন্স টিম (মোটরসাইকেলযোগে), ১৫টি পিকআপ যোগে, একটি স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ৫টি সরকারি ও ৬টি বেসরকারিসহ সর্বমোট ১১টি রেকার ডিউটি থাকবে। এছাড়া কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে হতাহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে ২টি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স এবং বেশকিছু মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সরাসরি ১টি কন্ট্রোল রুম এবং ৩৫টি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থাকবে।
তিনি আরও বলেন, চিহ্নিত ২৬টি পয়েন্টে অবৈধ স্থাপনা, অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, অবৈধ পার্কিং, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করা, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ সড়কের কারণে পণ্যবাহী গাড়িতে ওভারলোডের কারণে ধীরগতি, পথচারীদের অসচেতনতা, টোলপ্লাজায় ধীর গতিতে টোল আদায়, দুর্ঘটনার কারণে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া, ত্রুটিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে বিকল হয়ে যাওয়া, সড়ক পরিবহন আইন অমান্য করে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে নিষিদ্ধ ঘোষিত গাড়ি চালানোর ফলে যানজট লেগে থাকে। এসব সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে নিমসার বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। বাকি পয়েন্টগুলোতেও কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, মহাসড়কে দায়িত্বরত সব পুলিশ সদস্যের শরীরে বডি অন ক্যামেরা লাগানো থাকবে। যেন কোনো পুলিশ সদস্য গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করতে না পারে। পাশাপাশি এই ক্যামেরার সাহায্যে পুলিশ সদস্যদের গতিবিধি মনিটরিংয়ে থাকবে সবসময়। সর্বোপরি একটি সুন্দর ঈদযাত্রা উপহার দিতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা