ই-সিগারেটের ক্ষতি থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে ই-সিগারেট তৈরি করা হয়না, বরং সবই আমদানি করা হয়। আর এ থেকে সরকার খুব বেশি রাজস্বও পায়না। তাই সবদিক বিবেচনায় এদেশে ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। শুক্রবার (১৮ অক্টােবর) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত “ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট ও বাংলাদেশ: বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশে প্রচলিত তামাক নিয়ণ্ত্রণ আইনে ই-সিগারেটকে এখনো অন্তুর্ভূক্ত করা হয়নি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর হাত থেকে বাঁচাতে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরীর সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে ভারত-শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ২৩টি দেশে ই-সিগারেটের বিক্রি নিষিদ্ধ ও ৪১ টি দেশে কঠোর নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হয়েছে। যেহেতু ই-সিগারেট সরাসরি তামাক পণ্যই বিদ্যমান তামাক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা কঠিন। আর আইন না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ই-সিগারেট বিপণন নিষিদ্ধ করা জরুরি। সেই সাথে এর আমদানি বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্ যসংস্থা ই-সিগারেটকে জনস্বাস্থ্যে র জন্য মারাত্মক ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছে।ই-সিগারেটে ব্যবহৃত রাসায়নিক শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করতে পারে। এতে থাকা বিভিন্ন ক্ষুদ্রকণা, হেভিমেটাল ও ফরমাল ডিহাইডের মতো বিষাক্ত কেমিক্যাল যা শরীরে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের কারণ।ই-সিগারেটের নিকোটিন শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভয়াবহ বিপদজনক। উচ্চমাত্রার এই নিকোটিন স্নায়ুতন্ত্রের স্টেমসেলকে ধ্বংস করে অকাল বার্ধক্যসহ বিভিন্ন নিউরো ডিজেনারেটিভ ডিজঅর্ডার করে থাকে। একইসাথে নিকোটিনের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। ই-সিগারেটের ব্যবহার কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও এর ব্যবহার দিনদিন বেড়ে চলেছে। যদিও তা এখনো মূলতঃ বড়বড় শহরগুলিতে সীমিত। ২০১৭ সালে পরিচালিত গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ২ লক্ষ মানুষ নিয়মিত ই-সিগারেট ব্যবহার করে এবং ৪ লক্ষ মানুষ কমপক্ষে একবার ব্যবহার করেছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা