প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ই-পাসেপোর্ট ও ই-গেট সংযোজিত হলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সেবা সহজ, স্বাচ্ছন্দময় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সেবাকে যুগোপযোগী করতে ই-পাসপোর্ট প্রদান করতে যাচ্ছি। ই-পাসপোর্টের সঙ্গে ই-গেটও সংযোজিত হচ্ছে। ই-পাসেপোর্ট ও ই-গেট সংযোজিত হলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সেবা সহজ, স্বাচ্ছন্দময় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে।’
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ই-পাসপোর্ট প্রদান উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর : বাসস এর।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাসপোর্ট বহির্বিশ্বে একটি দেশ ও জাতির মর্যাদা নির্দেশক এবং গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দলিল। দেশে ও বিদেশে উপযুক্ত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত ও অবাধ চলাচলের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ই-পাসপোর্ট একটি যুগোপযোগী নাগরিক সনদ।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরো একটি মাইল ফলক স্পর্শ করা হলো।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সকল উদ্যোগকে ডিজিটাল কার্যক্রমে রূপান্তরিত করেছে। দেশের অভ্যন্তরে ৬৪টি জেলায় ৬৯টি পাসপোর্ট অফিস, ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, বিদেশস্থ ৭৫টি বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সেবাকে আন্তর্জাতিক ও উন্নত বিশ্বের সমমানে উন্নীত করতে ২০১০ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। অদ্যাবধি প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ বাংলাদেশি নাগরিককে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি নাগরিককে মেশিন রিডেবল ভিসা প্রদান করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে পূর্ণাঙ্গ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’
বাণীতে তিনি দেশের নাগরিকগণকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক সেবাধর্মী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এছাড়ও প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা