অনলাইন ডেস্ক
এদিকে নদী উত্তাল থাকায় বিকেলের পর থেকে ভোলায় সব ধরনের নৌযান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তলা ফেটে ট্রলারটি ডুবে যায়, তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহত নেই। ট্রলারে কিছু জাল নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের সময়ে ইলিশা ফেরীঘাট এলাকায় ৩-৪ টি দোকান ভেঙে গেছে বলেও জানান তিনি।বৈরী আবহাওয়ার কারণে তীরে ফিরতে শুরু করেছে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা। অপরদিকে মনপুরার উত্তর সাকুচিয়া পয়েন্ট দিয়ে একটি পুরাতন বাঁধ ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে বিকল্প বাঁধ থাকায় এতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি। ঝড়ের প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় ভোলা-বরিশাল, ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করেছে বিআইডব্লিটিএ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
ভোলা বিআইডব্লিটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, বিপদ সংকেত কম থাকলেও ঝড়ের কারণে নদী অনেক উত্তাল। তাই বড় এবং ছোট সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে ভোলা-লক্ষীপুর রুটেও ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জারিয়েছেন ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ইনচার্জ মো. পারভেজ খান। এদিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ জেলার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরির বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্তিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পরিস্তিতির উপর নির্ভর করে উপকূলের মানুষকে নিরাপদে আনার কাজ শুরু হবে। বেশ কিছু এলাকায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা