আহমেদ সাব্বির রোমিও
জ্যৈষ্ঠতার পাশাপাশি সৎ, দক্ষ, মেধাবী প্রকৌশলী হিসেবে মো. আশরাফুল আলমের সুনাম রয়েছে। দীর্ঘদিন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গণপূর্ত অধিদপ্তরকে জিম্মি করে রেখেছিল। মেধা, দক্ষতা ও জ্যৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে অতীতে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে এই দপ্তরটি রাহুর গ্রাস থেকে মুক্তি পায়। তারই ফলশ্রুতিতে গণপূর্ত ক্যাডারে ১৫তম বিসিএস-এ মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জনকারী মো. আশরাফুল আলমকে যোগ্যতা ও জ্যৈষ্ঠতার বিচারে এই পদের জন্য নির্বাচন করা হয়।
তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি কুচক্রীমহল শুরু থেকেই ষড়যন্ত্র করে আসছিল। এখন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর করোনার এই মহাদুর্যোগে জনগণের পাশে থেকে রাত-দিন কাজ করেছে। প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব, করোনা ইউনিট, আইসোলেশন ইউনিট প্রতিষ্ঠাসহ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও পানিব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। এই ক্ষেত্রে কোথাও দুর্নীতি ও অনিয়ম তো দূরের কথা তাদের এই কর্মকান্ড- সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে কঠোর মনিটরিংসহ সাপ্তাহিক ছুটি, ঈদের ছুটি ও সরকারি ছুটি ভোগ না করে এই ক্রান্তিকালে করোনাকে উপেক্ষা করে প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে রাত-দিন কাজ করে সুনাম অর্জন করেছে। এই ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা কেউ বলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত তুখোড় ছাত্রনেতা প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম ছাত্রজীবনে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি রুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কখনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি বরং বিগত দিনে ছাত্রলীগ ও মুজিব আদর্শ লালন করার কারণে এবং বগুড়ায় জন্ম নেওয়ায় তাকে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কুচক্রী মহল ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তাকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বার বার চেষ্টা করছে।
মো. আশরাফুল আলম গণপূর্ত অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মেধা ও যোগ্যতম ব্যক্তিদের যথাযথ মূল্যায়ন ও মর্যাদা দিয়ে কাজের গতি সঞ্চার করেছেন। চিহ্নিত ব্যক্তিদের গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে বিতাড়িত করেছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর গণপূর্তে টেন্ডার সিন্ডিকেট ও বদলি বাণিজ্য চিরতরে মূলোৎপাটনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে স্বার্থান্বেষী মহল বে-আইনি কোনো সুবিধা করতে না পারায় নানামুখী অপতৎপরতা চালানোর প্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে। আজ তারাই ভালো কাজের নিন্দা করেছেন এবং বিরোধিতা করছেন। তাকে বেকায়দায় ফেলতে মিথ্যা গল্প ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গণপূর্ত অধিদপ্তরকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রক্রিয়াকে সবাই সাধুবাদ জানালেও এই সিন্ডিকেট চক্র তা ভালো চোখে দেখছেন না। যারা অতীতে লুটেপুটে খেয়েছেন তাদের সিন্ডিকেট আবারও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টায় লিপ্ত । তারা তাকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা ও বিপর্যস্ত করতে সরকারের বিভিন্ন মহলে বেনামে অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম তার নীতিতে অটল ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার শপথ ও অঙ্গীকার করেছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, সত্যের জয় একদিন হবেই।
তিনি দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র আট মাসে ইমেজ সংকট কাটিয়ে ধীরে ধীরে গণপূর্ত অধিদপ্তর তার ঐতিহ্যের ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছেন। এই সময় তার কর্মকান্ড- বাধাগ্রস্ত করতে মহল বিশেষের যড়যন্ত্র প্রতিহত করতে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা