অনলাইন ডেস্ক
ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে আনলেন আগের ৮৮ টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১০ ওভার করা নাজমুল হোসেন শান্তকে। এতেই বাজিমাত। ফুলার ডেলিভারিতে উড়য়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়লেন ইনগ্রাম আর পরের বলে শান্তর হাতেই ক্যাচ তুলে দেন নতুন ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান। শেষ দিকে দারুণ ব্যাটিং করেও পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন-আলাউদ্দিন বাবু।
১৫তম ওভারে শান্তর ব্রেক থ্রুতে ম্যাচের নাটাই নিয়ে নেয় বরিশাল। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতের ম্যাচে বরিশালের দেওয়া ২০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সিলেট থামে ৬ উইকেটে ১৮৭ রানে। ১২ রানে জিতে মাঠ ছাড়ে সাকিবের দল। এটি বরিশালের টানা পঞ্চম জয়। সিলেটের চার-ছয়ের ঝড়ের মাঝে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন সাকিব। বল হাতে মাত্র ২৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ব্যাট হাতে করেছিলেন মাত্র ১৯ বলে ৩৮। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম্যান্স করে টানা চতুর্থ বার ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেলেন বরিশালের অধিনায়ক।
শুরু থেকে ঝড়ের বেগে রান করা ইনগ্রাম আউট হন ৯০ রানে। ১৬ চার ও ১ ছয়ে মাত্র ৪৯ বলে এই রান করেন তিনি। প্রথম ওভারেই মুজিব-উর রহমানকে টানা তিন চার মারা ইনগ্রাম মাত্র ২৪ বলে তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত তার আউটেই সিলেটের হারের চিত্র নাট্য লেখা হয়ে যায়। শেষ দিকে মোসাদ্দেক-আলাউদ্দিন বাবু রানের ব্যবধানটাই কমিয়েছেন শুধু। তারা দুজন ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে ২৮ বলে ৫১ রান যোগ করেন।
২১ বলে ৩৪ রান করে মোসাদ্দেক আউট হন ইনিংস শেষ হওয়ার ২ বল আগে। ২ ছয় ও ১ চারে ১২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত ছিলেন আলাউদ্দিন বাবু। এ ছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন ১৯, এনামুল হক ৯ ও সিলেটের অধিনায়ক রবি বোপারা ৯ রান করেন। বরিশালের হয়ে তিন ওভার কিংবা তার বেশি বোলিং করাদের মধ্যে একমাত্র সাকিবের ইকোনমি ছিল ছয়ের নিচে। বাকি সবাই ৮ এর বেশি রান দিয়েছেন। মুজিব তার চার ওভারে দেন ৪০ রান। ব্রাভো ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। মাত্র ১ ওভার করে ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শান্ত।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মুনিম-গেইলের ফিফটির সঙ্গে সাকিব-ব্রাভোর ঝড়ে ৪ উইকেট হারিয়ে এই আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করে বরিশাল। বিপিএলের এই আসরে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। সিলেটের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ৫ উইকেটে ২০২ রান এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
চলতি আসরে প্রথম ফিফটি করেছেন ক্রিস গেইল। ৪৫ বলে ৫১ রান করে তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া মুনিম শাহরিয়ার বিপিএলের প্রথম ফিফটি করেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৫১ রান। সাকিবের মতো ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন ব্রাভোও। তিনি ১৩ বলে ৩৪ রান করেন। সিলেটের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী, এ কে এস স্বাধীন, আলাউদ্দিন বাবু ও নাজমুল ইসলাম।
এই জয়ে শীর্ষস্থান আরও পাকাপোক্ত করলো বরিশাল। ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে সাকিবের দল। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে অবস্থানে সিলেটের। প্লে-অফের লড়াইয়ে বলতে গেলে সিলেটের সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা