অনলাইন ডেস্ক
ফুটবল মাঠে ইতালির সঙ্গে স্পেনের শত্রুতা ঐতিহাসিক। ১৯৩৪ বিশ্বকাপে এই দুই দলের লড়াইয়ে জিতেছিলো ইতালি। ৬০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে তাদের ম্যাচটি রীতিমতো মল্লযুদ্ধে পরিণত হয়েছিলো। নতুন সহস্রাব্দে এই শত্রুতা ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
২০০৮ সালে ইতালিকে হারিয়ে ইউরো জিতে বিশ্ব ফুটবলে স্প্যানিশ দাপটের চার বছরের বৃত্তের সূচনা হয়েছিলো। এরপর তারা বিশ্বকাপ ও আরেকটি ইউরো জিতেছিলো। কাকতালীয়ভাবে ইতালির হাতেই তাদের এই বৃত্তের পরিসমাপ্তি ঘটেছিলো।
কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিতে উঠে স্পেন। অন্যদিকে, ফিফা র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা বেলজিয়ামকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিতে জায়গা করে নেয় ইতালি।
ইউরোতে দুদলই ফর্মে থাকলে অতীত পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে স্পেনই। এখন পর্যন্ত স্পেন-ইতালি ৩৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে স্পেন জিতেছে ১২টি ম্যাচ, ১৩টিতে ড্র হয়েছে এবং ইতালি জিতেছে ৯টিতে। দুদলের সর্বশেষ লড়াইয়েও স্পেন জিতেছিল ৩-০ গোলে।
শেষ ২০১৭ সালে ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে দেখা হয়েছিলো রেড ফিউরি ও আজ্জুরিদের। সে ম্যাচটিও ৩-০ তে জিতেছিলো স্প্যানিশরা। দু’দলের শেষ পাঁচ দেখায় দু’টিতে জেতে স্পেন, একটিতে ইতালি এবাং দুই ম্যাচ হয় ১-১ গোলে ড্র।
রবের্ত মানচিনির ইতালির দোন্নারুম্মা গোল পোস্টের নিচে দারুণভাবে স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। লরেঞ্জো, কিয়েল্লিনি, বোনুচ্চি ও এমারসন থাকবেন রক্ষণ আগলে। জর্জিনহো, বারেল্লা, বেররাত্তি মাঝমাঠে আজ্জুরিদের আস্থা। কিয়েসা, ইমোবিলে, বেরার্দি ও ফর্মের তুঙ্গে থাকা ইনসাইনে সামলাবেন আক্রমণভাগ।
লুইস এনরিকের গোলপোস্টের নায়ক সিমনেই আস্থা। অ্যাজলেপেকুইতা, লাপোর্তে, তোরেস ও আলবা ডিফেন্স সামাল দেবেন। কোকে, বুসকেট ও পেদ্রি থাকবেন মিডফিল্ডের দায়িত্বে। ফেরান তোরেস, মোরাতা, ওলমো ও মোরেনোরা অ্যাটাকিংয়ে। সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইতালিয়ানরা অপরাজিত সর্বশেষ ৩২ ম্যাচে। স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচে ইতালির জয়রথ থামবে নাকি আবারো অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়বে ইতালি- সেটাই দেখার বিষয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা