অনলাইন ডেস্ক
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার সকালে রাশিয়ান এ হামলায় ৫৫টির মধ্যে ৩৯টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং আক্রমণে ব্যবহৃত ২১টি আক্রমণাত্মক ড্রোনের মধ্যে ২০টি ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী।
দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো তার টেলিগ্রাম অ্যাপে লিখেছেন, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর আরেকটি ব্যাপক আক্রমণ।
বুধবারের এ আক্রমণে রাশিয়া পোলতাভা, কিরোভোহরাদ, জাপোরিজজিয়া, এলভিভ, ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক ও ভিনিৎসিয়া অঞ্চলের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান গালুশচেঙ্কো।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো জানান, প্রায় ৩৫০ জন উদ্ধারকারী রাশিয়ান হামলায় একাধিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, ৩০টি বাড়ি, গণপরিবহন, গাড়ি ও একটি ফায়ার স্টেশনের আগুন নেভানো ও উদ্ধার কাজ চালানোর চেষ্টা করছেন।
রেডিও ফ্রি ইউরোপ ও রেডিও লিবার্টি জানিয়েছে, এলভিভের গভর্নর ম্যাকসিম কোজিটস্কি বলেছেন যে, রাশিয়া ইউক্রেনের পশ্চিমে তার অঞ্চলে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস স্টোরেজেও আক্রমণ করেছে।
এ বছরের মার্চ মাসে শুরু হওয়া ইউক্রেইনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামোতে ধারাবাহিক হামলার মধ্যে বুধবারের হামলাটি ছিল সর্বশেষ বড় হামলা।
বুধবারের রাশিয়ান হামলার কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হচ্ছে।
হামলার বিষয়ে মস্কো থেকে তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলার করার বিষয়টি অস্বীকার করলেও ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থাকে একটি সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা