মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম মান্নান কচি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মোশারফ হোসেন।আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী টেলিভিশনের মহা ব্যবস্থাপক সরদার রইফুল আমিন রউফ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার রইসুল আমিন।
এস.এম মান্নান কচি বলেন, ‘বাঙালি জাতিকে অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংগঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির মনের মণিকোঠায় বাস করতেন শেখ মুজিব। তার ডাকেই বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মোশারফ হোসেন একাত্তরের রনাঙ্গণের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর তেইশ বছরের সংগ্রামকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে গোপালগঞ্জ মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ড. মকবুল আহমেদ খান বলেন, ১৯৭২সালের এপ্রিল মাসে বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে (মুক্তিযোদ্ধাদেরকে) ডেকে বলেছিলেন- তোমরাতো স্বাধীনতা এনেছো এখন তোমাদের প্রত্যাশা কী। আমরা গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে ‘মুজিব বাড়ি’ নামকরণ করতে বলেছিলাম। উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মানুষ আমাকে গোপালগঞ্জের ছেলে হিসেবে চেনে। এই গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করা যাবে না।’
১১ ফেব্রুয়ারী বেলা এগারোটায় ২/৪ গাবতলী, মিরপুরে অবস্থিত ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসের হলরুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মকবুল আহমেদ খান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন বিজনেস বিভাগের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. ফারজানা আলম।
আলোচনার একপর্যায়ে মুজিব বর্ষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শিক্ষার্থীদের মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান ড.ফারজানা আলম।
অনুষ্ঠানে যোগ দেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সকল বিভাগীয় প্রধানসহ ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের একাংশ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা