ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড উভয়েই ‘প্রথম’ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে। আগামীকাল রবিবার দ্বাদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেখানে লড়বে স্বাগতিক ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। দুই দলের কেউই কখনো বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ নিতে পারেনি। তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি ইংলিশরা। আর গত আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠলেও, রানার্স-আপ হয়ে সন্তুস্ট হয়ে থাকতে হয় নিউজিল্যান্ডকে।
তাই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরার সুবর্ণ সুযোগ ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড দুই দলের সামনেই।। ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত স্টেডিয়াম লর্ডসে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট-বল হাতে লড়তে নামবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। লর্ডসে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে।
এই নিয়ে চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড। আগের তিনবারই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালে ইংলিশরা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। তিনটি ফাইনালে তারা হেরেছে যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের কাছে। ১৯৯২ আসরের ২৭ বছর পর আবারো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ইয়োইন মরগানের দল। এবার যেকোনো প্রকারে শিরেপার স্বাদ নিতে উদগ্রীব স্বাগতিকরা।
গত আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হযেছিল ইংলিশদের। ঐ বিদায়ের পর থেকে ক্রিকেট অঙ্গনে নিজেদের নতুনভাবে চেনাতে থাকে তারা। দুর্দান্ত ক্রিকেট নৈপুন্য প্রদর্শন করে আইসিসি র্যাংকিং উপরের তালিকায় উঠে আসে ইংল্যান্ড। এক পর্যায়ে র্যাংকিং-এর শীর্ষে উঠে মরগান-রুট-স্টোকসরা। যারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়া ইংল্যান্ড চার বছর পরের আসরের ফাইনালে। গত চার বছরে ইংল্যান্ডের কতটা উন্নতি হয়েছে সেটিই সবাইকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান।
ইংল্যান্ড চতুর্থবারের সেমিফাইনালে উঠলেও, দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। তাও টানা দ্বিতীয়বার। গত আসরের ফাইনালে উঠেও রানার্স-আপ হয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছিল দলটি। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে হারে তারা। গত আসরের আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০১১ পাঁচবার সেমিফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু কোনো আসরেই তারা সেমির বাধা টপকাতে পারেনি।
NB:This post is copied from kalerkantho