অনলাইন ডেস্ক
প্রথম মহাদেশীয় শিরোপার হাতছানিতে ইংলিশ দর্শকে ঠাসা ওয়েম্বলির গ্যালারিতে আজ গর্জন উঠবে ‘ইটস কামিং হোম’। ফুটবল ঘরে ফেরার পথে শেষ বাধা যারা সেই ইতালির সমর্থকদের মুখে পালটা স্লোগান ‘ইটস গোয়িং রোম’! তাদের অপেক্ষাও যে কম দীর্ঘ নয়। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি তাদের একমাত্র ইউরো শিরোপাটি জিতেছে সেই ১৯৬৮ সালে। এরপর দুবার হেরেছে ফাইনালে (২০০০ ও ২০১২)। দ্বিতীয় শিরোপার জন্য ৫৩ বছরের হাহাকার ঘোচাতে এবার উদগ্রীব আজ্জুরিরা।
দলে কোনো মহাতারকা না থাকলেও রবার্তো মানচিনির জাদুর ছোঁয়ায় গত তিন বছরে সত্যিকারের দল হয়ে উঠেছে ইতালি। রেকর্ড টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত তারা সেমিফাইনালে প্রবল চাপে থেকেও টাইব্রেকারে হারিয়েছে স্পেনকে। ইতিহাসও ইতালির অনুকূলে। বিশ্বকাপ ও ইউরোর মতো বড় টুর্নামেন্টে ইতালিকে কখনও হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। চার ম্যাচের চারটিই জিতেছে ইতালি।ইংলিশ অধিনায়কের ভাষায়, ‘ওয়েম্বলিতে খেলতে পারায় আয়োজনটা আরও বিশেষ মনে হচ্ছে। গ্যালারিতে আমাদের পক্ষে সমর্থকদের গাওয়া গান বাড়তি প্রেরণা যোগাবে। নিজেদের দ্বিতীয় ট্রফি ঘরে তোলার জন্য এর থেকে ভালো ভেন্যু আর কিছুই হতে পারে না।’
২০১২ সালে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ইতালি জয়ী হয়েছিল। এরপর ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ইতালিই জিতেছিল ২-১ গোলে। যদিও দুটি দলই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল।তুরস্ককে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরোর অভিযান শুরু করেছিল ইতালি। এ পর্যন্ত রবার্তো মানচিনির অধীনে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত থেকে রেকর্ড গড়েছে।
দু’দল শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৮ সালে। ফিফা প্রীতি ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। স্বাগতিক হিসেবে ইউরো জিততে পেরেছে এখনো পর্যন্ত মাত্র তিন দল। ১৯৬৪ সালে স্পেন, ১৯৬৮ সালে ইতালি ও ১৯৮৪ সালে ফ্রান্স। ২০১৬ সালে ফ্রান্স ঘরের মাঠে উঠেছিল ফাইনালে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের কাছে অতিরিক্ত সময়ের একমাত্র গোলে হেরে হৃদয় ভাঙে ফরাসিদের।
২০১৮ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার পরেই মানচিনিকে ইতালির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপর থেকে মানচিনির অধীনে বদলে যেতে শুরু করে ইতালি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা