অনলাইন ডেস্ক
তারানা হালিমের লেখাটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
ইউপি নির্বাচনী ভাবনা—কে জিতলো?
ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা, নৌকা মার্কার বিপরীতে আজীবন নৌকা মার্কার কর্মী অথচ নির্বাচনে নৌকা মার্কা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হওয়া—গোলমাল লাগছে? গোলমালের কিছু নেই। ভাবনা এবার ভোটে প্রতিফলিত হয়েছে।
২০৬ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী দল নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হারবে কেন? অর্থ পরিষ্কার—সেই বিদ্রাহী প্রার্থীর টাকার জোর ছিল না কিন্তু তিনি ছিলেন এলাকায় জনপ্রিয়, তিনি কোনো নেতা, এমপির পকেটে যাননি, তিনি জনগণকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করেছেন। তাই দল নিয়ে ব্যবসা করারা জানুক—এবার আওয়ামী লীগ হেরেছে, আওয়ামী লীগের কাছে। আপনাদের কারণে।
মনোনয়ন দেবার সময় বাণিজ্যের কাছে হার মেনেছে জনপ্রিয়তা অনেকখানে। অন্যদিকে দিনশেষে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় মানুষটিই জয়ী হয়েছেন—আওয়ামী লীগ তো হারেনি। মনোনয়ন বাণিজ্য পরাজিত হয়েছে (একই কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের একজন সংসদ সদস্যও) সকলের কথা বলছি না, কিন্তু যে সব আতি ও পাতি ও মহা নেতারা অর্থের কাছে নৌকাকে বিক্রি করেছেন—তারা বঙ্গবন্ধুর সাথেও বেঈমানি করেছেন। মনোনয়ন বাণিজ্য এভাবেই পরাজিত হোক।
জয় বাংলা। ধন্যবাদ তাদের যারা আজীবন আওয়ামী লীগ করা ত্যাগী জনপ্রিয় প্রার্থীকে জয়ী করেছেন। আপনাদের দ্বারাই বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য।
আপনার কাছে ক্ষমা চাই বঙ্গবন্ধু। যে দলকে শক্তিশালী করার জন্য আপনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন (নৌকাকে মজবুত করতে) আজ কিছু নেতার বাণিজ্য আপনার আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। আপনার সেই দলকে বিব্রত করেছে। দলকে ভালোবাসি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করি মনে প্রাণে—তাই চুপ থাকতে পারি না। দেখেও না দেখার ভান করতে পারি না।
আপনারা, যারা এভাবে দলকে অপমান করলেন, তাদের ক্ষমা নেই। অর্থের কাছে বিক্রি করলেন প্রার্থিতা! দলের জয় পরাজয়! আপনারা আর যাই হোন-কখনো দলকে ও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেছেন—এ কথা বলবেন না।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা