অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর থেকেই পপির সাড়ে পাঁচ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে যায় চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গ্রুপে। সেখানে তিনি জানান, শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটির নেতৃত্ব কর্তৃক একাধিকবার অপমানিত হয়েছেন৷ এ কথা জানাতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে কাঁদতে দেখা যায় তাকে। অভিনেত্রী বলেন, ভেবেছিলাম আর কখনোই ক্যামেরার সামনে আসবো না। কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে এবং নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আজকে কিছু কথা না বললেই না।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৬ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে সুনামের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। আজকে অনেক কষ্ট নিয়ে কথাগুলো বলছি, আজ আমি কোথায়! আমি আছি আপনাদের মাঝেই, হয়তো ভাগ্য থাকলে আবারো ফিরবো কাজে।
পপি বলেন, বর্তমান শিল্পী সমিতির একটি মাত্র লোকের কারণে আমাকে বার বার অপমানিত হতে হয়েছে। শুধু আমি না, আমার মতো রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, নিপুণও অপমানিত হয়েছেন। আমাদেরকে ব্যবহার করে যে এই চেয়ারটিতে বসেছে- সেখানে বসেই বিভিন্ন রকমের অপকর্মের চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা গুটি কয়েকজন তাতে সাঁয় দিইনি।
তিনি বলেন, যার কারণে আজকে আমি ভিক্টিম। আমার মতো শিল্পীকে সদস্য পদ বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতো বছর কাজ করার পর এমন আচরণ, একটা শিল্পীর জন্য কতোটুকু অপমানের- সেটা আমি বুঝতে পারি। ১৮৪জন শিল্পীরাও এই কষ্টটা বুঝতে পারবে।
‘কুলি’ সিনেমার এই নায়িকা বলেন, এসব কারণে চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। আমার কাছে সদস্য পদ বাতিলের চিঠিটা এখনো আছে। ওই চিঠিটা যখনই পেয়েছি, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি নোংরামির মধ্যে আর যাবো না। ভেবেছি, কখনো যদি পরিবেশ ভালো হয়- তখনই চলচ্চিত্রে ফিরবো।
চলচ্চিত্র শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যে ভুলটা করেছি, দয়া করে আপনারা সেই ভুলটা করবেন না। চলচ্চিত্র বাঁচলেই আমরা বাঁচবো। আমরা পরিবর্তন চাই, কাজ চাই। সেজন্য আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের পরীক্ষিত সৈনিক কাঞ্চন ভাই, নিপুণ, রিয়াজদের একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। তারা অন্তত শিল্পীর মূল্যায়ন করবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা