গ্রুমিংটা চলছিলো বেশ কয়েক মাস ধরেই। চলচ্চিত্র পরিচালক সায়মন তারিক চাইছিলেন নতুন কিছু ছেলে মেয়েকে নিয়ে তার আগামী চলচ্চিত্র র্নিমান করবেন।
” এ চোখে শুধু তুমি “, “মাটির পরী “, ” গুন্ডামি “,ক্রাইম রোড ” মুক্তি প্রাপ্ত ছবির পরিচালক সায়মন বলেন, ” আগামীতে শুধু অভিনেতা, অভিনেত্রীই নয় ক্যামেরার পিছনেও তার কাজের সহযোগীতা করবে নতুন মুখ। একারণেই তার প্রোডাকশন হাউজ ” বাতিঘর মুভিওয়ালা ” ও “অর্পা মাল্টি মিডিয়া”র ব্যানারে নির্মান করেছেন মোট পাঁচটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
পরিচালক সায়মন তারিক জানান, নতুন সিনেমা শুরুর আগে পর্যন্ত এই চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। সামনে আবারো যাবেন নতুন আরো পাঁচটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে স্যুটিং এর জন্য।
এই লটে যে পাঁচটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের স্যুটিং শেষ করলেন সেগুলো হলো, ” নিরব কান্না ” রচনা ও পরিচালনায় জেসমিন আক্তার নদী, ” দৌড় রচনা লিওন খান, পরিচালনায় আশরাফ নওশের, ” হিসাব নিকাশ ” রচনা সায়মন তারিক, পরিচালনায় আহমেদ সাব্বির রোমিও, এছাড়া “ব্যাখ্যা” ও “স্যালুট” এই দুটো স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রচনা ও পরিচালনার দায়িত্বে তিনি নিজেই ছিলেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক সায়মন তারিক বলেন, ‘গল্প ভালো হলেই যে দর্শক হলমূখী হবে এটা বলা মুসকিল। এটা একটি অন্যতম কারণ বলতে পারেন। টিম ওয়ার্ক ভালো না হলে কোন কাজে সফলতা আসে না। সে ক্ষেত্রে কোন কিছু নির্মানের আগে প্রি -প্রোডাকশনে নজরের ব্যাপক ভুমিকা রয়েছে। আজকাল বেশির ভাগ অভিনয় শিল্পীরাই রিহার্সেল করতে চান না। স্ক্রিপ্ট আগে পৌঁছে দিলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিল্পীরা বিষয়টির গুরুত্ব নজরে নেন না। কোন মতো চোখ বুলিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন! যার ফলে পরবর্তীতে স্যুটিং চলাকালে পরিচালককে অনেক ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়।’
চলচ্চিত্র পরিচালক সায়মন তারিক আরো বলেন, ‘অনেক শিল্পীর ধারণা, অভিনয় করা অনেক সহজ একটা কাজ। ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। ক্যামেরার সামনে এক ফেম ফাঁকি দেবার কোন সুযোগ নেই!
যে কারনেই একজন অভিনয় শিল্পীর জন্য গ্রুমিং, রিহার্সেলটা খুবই জরুরী।’ আমি আমার আগামী ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে বেশ কিছু নতুন ছেলে মেয়েকে কাজে লাগবো। পার্শ্ব চরিত্র হোলেও প্রতিটি চরিত্রেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আমার আগামী ছবিতে। ছবির কাহিনী সংলাপে তারা সকলেই একে অপরের পরিপূরক। এই দশটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় দক্ষতায় যারা ভালো করবেন তাদেরকেই সুযোগ দেয়া হবে আমার আগামী সিনেমায়। এই একই সুযোগ ক্যামেরার পিছনে যারা কাজ করেছেন তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বিভিন্ন মনোরম পরিবেশে ধারণকৃত উপরে উল্লেখ্যিত পাঁচটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে যারা অভিনয়ে অংশ নিয়েছেন তারা হলেন, শিশির আহমেদ, আহমেদ সাব্বির রোমিও, রিপন খান ,আশরাফ নওশের, জয়িতা রহমান, মানসী প্রকৃতি,সুমন মাজাহার, সাগর রহমান, মায়া মিতু, মনির খান এবং রানী। শিশু শিল্পী হাবিব।ক্যামেরায় ছিলেন নিরব। লাইটে আনোয়ার।
সর্বশেযে পরিচালক সায়মন তারিক বলেন, ‘বাতিঘর মুভিওয়ালা প্রডাকশন হাউজ একটি পরিবার হিসেবে কাজ করবে। আগামী সকল কাজ হবে টিম ওয়ার্কের ভিত্তিতে।খুব দ্রুত আমাদের নতুন চমক আসছে! এখন শুধু অপেক্ষার পালা মাত্র।’
# আহমেদ সাব্বির রোমিও : লেখক, সাংবাদিক, অভিনেতা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা