আহমেদ সাব্বির রোমিও
আশিক চৌধুরী একাধারে একজন চিত্রনায়ক, নাট্যাভিনেতা, মুকাভিনেতা ও মঞ্চাভিনেতা। যদিও এখন টিভি নাটকে এবং সিনেমায় অভিনয়ে বেশি ব্যস্ত সময় কাটান কিন্তু তারপরও তার নাট্যদল মুন্সীগঞ্জের ‘থিয়েটার সার্কেল’ থেকে মঞ্চে অভিনয়ের ডাক এলে তিনি চেষ্টা করেন তাতে অভিনয় করতে। কারণ সেই মঞ্চই তাকে আজকের আশিকে পরিণত করেছে।
ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে ‘ছবি ঘর’ সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে গিয়েই সিনেমার নায়ক হবার নেশায় পেয়ে বসে তাকে। আর সেই স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যান তিনি মুন্সীগঞ্জে নিজেকে নাট্যদলের সাথে সম্পৃক্ত করে। অনেক অপেক্ষার পর একসময় সিনেমায় অভিনয়ে আশিক চৌধুরীর স্বপ্ন পূরণ হয়। তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা জুলহাস চৌধুরীর ‘দুটি মনের পাগলামী’। এরপর আরো পাঁচটি সিনেমা মুক্তি পায় তার। শুক্রবার সারাদেশের দশেরও অধিক সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে তার সাত নম্বর সিনেমা জয় সরকার পরিচালিত ‘ইন্দুবালা’। এই সিনেমায় তিনি ইন্দুবালা’র বিপরীতে বাবলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
বাবলা একজন জমিদারের সন্তান। ইন্দুবালার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একসময় ইন্দুবালাকে প্রতিষ্ঠিত করতে বাবলা মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে যায়। এগিয়ে যায় গল্প। মূলত আশিকই এই সিনেমার গল্পের নায়ক। তার ও নায়িকার প্রেমকে আবর্ত করেই সিনেমার গল্প এগিয়ে যায়। আশিক চৌধুরী বলেন,‘ আমাকে যখনই সিনেমার পরিচালক জয় ভাই গল্প শুনিয়েছিলেন আমি কখনই সিনেমাটিতে কাজ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি। কারণ গল্পটা আমার বাবলা এবং ইন্দুবালার চরিত্রকে ঘিরেই এগিয়ে যায়। আমি আমার চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আর এটি যেহেতু আমার মুক্তিপ্রাপ্ত সাত নম্বর সিনেমা, তাই এই সিনেমাটি নিয়ে কেন যেন মনের ভেতর একটু বেশিই আশাবাদ আমার। আশা করছি দর্শকের ভীষণ ভালোলাগবে ইন্দুবালা সিনেমাটি।’
আশিক চৌধুরী মুক্তিপ্রাপ্ত অনন্যা সিনেমাগুলো হচ্ছে আবুল কালাম আজাদের ‘হৃদয় দোলানো প্রেম’, আজিজুর রহমানের ‘স্বর্গ থেকে নরক’ আফজালের ‘সুজনের আশা’ এবং মুকুল নেত্রবাদী’র ফিফটি ফিফটি প্রেম’। গেলো বছর অক্টোবরে ‘ফিফটি ফিফটি প্রেম’ মুক্তি পায়। এদিকে গত পরশু আশিক সকালের ফ্লাইটে কক্সবাজার গিয়েছেন মোহন খানের ‘নীড় খোঁজে গাঙচিল’ ধারাবাহিকের শুটিং-এ অংশ নিতে। ফিরবেন ৩০ নভেম্বর।
এছাড়াও আশিক এসএটিভির ‘তুমি আছো তাই’ এবং দীপ্ত টিভির নতুন ধারাবাহিক ‘স্বপ্ন দেখে মন’-এ নিয়মিত অভিনয় করছেন। মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ থেকে সমাজ কর্মে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করা আশিকের মঞ্চে অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকত হচ্ছে ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘জমিদার দর্পন’,‘ ১৯৭১’, ‘পদ্মা পাড়ের কতকথা’ ইত্যাদি। তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক আউয়াল চৌধুরীর ‘ভাইরাস’।
আরও পড়ুন : ফরিদুর রেজা সাগরের ‘মিষ্টিপান’ দেখলে মিলবে পুরস্কার
দেখুন লাল সবুজের কথা’র ফেসবুক পেজ ।
# লেখক, সিনিয়র সাংবাদিক, অভিনেতা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা