প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গতকাল (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সে সভায় সংগঠনের সাংগঠনিক নেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন জানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। যদিও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল কোনো সূত্র এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছেন না।
গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সম্পর্কে নানা অভিযোগ তোলেন উপস্থিত নেতারা। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বিতর্কিতদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেওয়া, দুপুরের আগে ঘুম থেকে না ওঠা, নিয়মিত মধুর কেন্টিনে উপস্থিত না হওয়া, সামাজিক-অর্থনৈতিক নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ইত্যাদি।
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপস্থিত নেতাদের সমালোচনার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বিরক্তিও প্রকাশ করেন তিনি।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণভবনে অপেক্ষা করছিলেন। আওয়ামী লীগের দুজন জ্যেষ্ঠ নেতা তাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করার পরামর্শ দিলেও তারা যাননি। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের চলে যেতে বললে তারা গণভবন থেকে বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
NB:This post is collected from thedailystar.net
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা