অনলাইন ডেস্ক
৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাইডেন। সর্বোচ্চ ১৬ কোটির বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচিত ও পরাজিত দুই প্রার্থীই রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। দেশটির প্রথম ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান হতে যাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ।
এবার আরেকটি রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। পেন্টাগনের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানের প্রধান করতে যাচ্ছেন আরেকজন নারীকে। তিনি হলেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মিশেল ফ্লাওনোয়ি। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে পেন্টাগনের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এবং বারাক ওবামার আমলে আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে মিশেল দায়িত্ব পালন করেছেন।
পেন্টাগনের ইতিহাসে গত চার বছর ছিল সবচেয়ে অস্থির সময়। ট্রাম্পের মেয়াদকালে পেন্টাগনের প্রধান হিসেবে পাঁচজন দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ এ পদ থেকে মার্ক এসপারকে বিদায় নিতে হয়েছে। জো বাইডেনের উপদেষ্টাদের একজনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটরা অনেক আগে থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে নারীদের নিয়োগ দিতে চাইছে; বিশেষত যেসব পদে নারীরা এর আগে কখনও আসেননি, সেসব পদে তাদের নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা অনেক আগের।
২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটন জয়ী হলে মিশেলকে পেন্টাগনের প্রধান হিসেবে আনার পরিকল্পনা ছিল। এ কারণে বাইডেনের সম্ভাব্য মন্ত্রিসভায় মিশেলের থাকাটা এক ধরনের নিশ্চিত ধরা যায়। ১৯৯০ সালে পেন্টাগনের সঙ্গে মিশেল যুক্ত হন। সর্বশেষ বারাক ওবামার আমলে ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আন্ডার সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে সোমবার জো বাইডেন বলেছেন, করোনাপীড়িত অর্থনীতিতে তিনি বিশেষ নজর দিতে যাচ্ছেন। শপথ নেয়ার পরপরই মার্কিন অর্থনীতি উদ্ধারে তিনি কাজে নেমে পড়বেন।
বাইডেনকে জয়ী স্বীকার করেও ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের : প্রথমবার পরাজয় স্বীকার করলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফের টুইট করে জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। এরপরই তার হুশিয়ারি, যে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন তার শেষ দেখে তবেই তিনি ক্ষান্ত হবেন। এখনও দীর্ঘ লড়াই বাকি। তার মন্তব্য, ভুয়া সংবাদমাধ্যমের চোখে বাইডেন জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে। এরপর জোরের সঙ্গে তিনি বলেন, আমরাই এ নির্বাচনে জিতব।
রোববার সকালে বাইডেনকে নিয়ে ট্রাম্পের টুইট করার পর সংবাদমাধ্যমে হইচই পড়ে যায়। দেশটির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ‘ট্রাম্প প্রথমবারের মতো বাইডেনের জয় স্বীকার করে নিয়েছেন’ বলে খবর প্রচার করে। কিন্তু এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সব খবরে পানি ঢেলে দেন ট্রাম্প নিজে। আরেকটি টুইটে তিনি বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) শুধু ভুয়া সংবাদমাধ্যমের চোখে জিতেছেন। আমি কিছুই স্বীকার করিনি।
আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দেয়া ?বাকি আছে। এটা ছিল একটি পাতানো নির্বাচন।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো ভোট পরিদর্শক বা পর্যবেক্ষককে ঢুকতে দেয়া হয়নি, একটি চরম বামপন্থী ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানিকে দিয়ে ভোটের সারসংক্ষেপ করা হয়েছে।’
ট্রাম্পের টুইটগুলো নিয়ে পরে এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বাইডেনের পছন্দের শীর্ষে থাকা হোয়াইট হাউসের সম্ভাব্য চিফ অব স্টাফ রন ক্লাইন বলেন, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হবেন নাকি হবেন না তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার ফিড ঠিক করবে না। আমেরিকার জনগণ সেটা ঠিক করবেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা