আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুক্রবার শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্ব। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে মুসল্লিরা এখন টঙ্গীর তুরাগতীরে।
এ পর্বে যোগ দিতে গতকাল থেকেই সা’দ কান্ধদলভির অনুসারীরা নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের তাবলিগ জামাতের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমাকে সর্বাত্মকভাবে সফল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথম পর্বের ন্যায় এ পর্বেও সতর্ক নজরদারি ও সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন শুক্রবার থাকায় ময়দানেই জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি হলেন রাজেন্দ্র দেব মন্টু
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা পরিচালনা কমিটির শীর্ষ মুরব্বি ও ব্যবস্থাপনা সমন্বয়কারী ওয়াসেফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভি আসবেন না। এ কারণে তাবলিগ মারকাজের ভারতের নিজাম উদ্দিনের পক্ষ থেকে ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিয়েছেন। তাদের তত্ত্বাবধানে ইজতেমার কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
শীর্ষ মুরুব্বি ড. রফিকুল ইসলাম জানান, কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে বুধবার বিকাল থেকে ময়দানে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। দলে দলে দ্বিতীয় পর্বের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে যোগ দিচ্ছেন। দ্বিতীয় পর্বেও দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন।
শুক্রবার বাদ ফজর ভারতের মাওলানা চেরাগ আলীর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। এ বয়ানটি বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশি মাওলানা আশরাফ আলী।
বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকেই শুরু হয়েছে প্রাক বয়ান। প্রাক বয়ান শুরু করেন বাংলাদেশে সা’দপন্থির নেতৃত্বদানকারী মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা শামীম ও তা তরজমা করেন বাংলাদেশি মাওলানা জিয়া-বিন কাশেম।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু কাল
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জানান, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও থাকছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা-ব্যবস্থা। র্যাব, পুলিশ ও সাদা পোশাকে থাকছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় আট হাজার সদস্য। পুরো ইজতেমা ময়দানজুড়ে সিসিটিভি, ওয়াচ টাওয়ার ও মেটাল ডিটেক্টরে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নিরাপত্তা বলয় থাকবে ইজতেমা মাঠ ও মাঠের বাইরে।
ইজতেমার প্রথম আয়োজন শুরু হয় ১৯৪৬ সালে কাকরাইল মসজিদে। তারপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৭ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমানস্থলে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা