পর্ব- ৪
আনন্দ আর কষ্টে মোড়ানো বিজয় দিবস!
তাসকিনা ইয়াসমিন
নৌকায় করে সেগুলাে নিয়ে এসেছি। ঐ খানে সন্ধ্যার সময় ফেরত আসার পরে ১৪ ই ডিসেম্বরে শাহজাদপুরে এসে দেখি যে, বগুড়া থেকে মিলিটারি বিহারি এরা এসে এসে সরকারি কলেজে এসে ক্যাম্প করছে। যে কলেছে আমি লেখাপড়া করতাম। সেই কলেজের মধ্যে আমরা আক্রমণ করলাম। করার পরে সকাল বেলার দিক ওরা পার হয়ে চলে গেল। শাহজাদপুর মুক্ত হলো ।
১৫ই ডিসেম্বরে আমি পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। ১৬ই ডিসেম্বরে প্রথমেই ভোরবেলায় যে পারখোলা নামে একটা প্রাইমারি স্কুল ছিল সেই প্রাইমারি স্কুলে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শত রাউন্ড এসএমজি দিয়ে আমরা ব্রাশ ফায়ার করে প্রথম বিজয় দিবস উদযাপন করি।
আত্মসমর্পণ আমরা রেডিওতে খবরে, বিবিসির খবরে জানতে পেরেছি। এরমধ্যে আমাদের মুক্ত এলাকা হয়ে গেছে। সুতরাং আমরা ১৬ই ডিসেম্বরে সক্কাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছি। উত্তোলন করে, ফায়ার করে আমরা স্বাধীনতা উপভোগ করেছি যে আমরা পুরোপুরি শত্রুমুক্ত।
তখন অত বুদ্ধিতে পরিপক্ক ছিলাম না। এখন বয়সের কারণে, বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে যে শিক্ষাটি অর্জন করেছি, তার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে শিখেছি রাষ্ট্র কি, দেশ কি, দেশের রাজনীতি কি, দেশের সংস্কৃতি কি? মুক্তিযুদ্ধের চাওয়া পাওয়ার আকাঙ্খা কি ছিল এবং স্বাধীনতার পরিপূরণ কতটুকু হয়েছে। এবং কতটুকু নৈতিক স্খলনের মধ্যে রাষ্ট্র চলে গেছে। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কতটুকু ঘুণ ধরেছে এসব বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা একটা ধারণা পোষণ করি। সেই ধারণা পোষণের জায়গা থেকে যদি আমি ২০১৯ সালের বিজয় দিবসকে দেখি তাহলে আমি মনে করি এই বিজয় দিবস সেই বিজয় দিবস নয়। কারণ এই বিজয় দিবসের সাথে মুক্তিযুদ্ধর চাওয়া পাওয়া এবং গণমুক্তির আকাঙ্খার কোন উল্লেখিত বিষয়ই নেই এবং আজকে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতির কথা বলেন বা বলছেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সচেষ্টভাবে সবসময় লেখালেখির মধ্য দিয়ে বলার চেষ্টা করি, যে আপনারা আগে বলুন, যে মুক্তিযুদ্ধটা কি ছিল? মুক্তিযুদ্ধ কেমন ছিল? মুক্তিযুদ্ধের চাওয়া পাওয়ার মধ্য দিয়ে জাতির কোন আকাঙ্খাটা ছিল এবং সেই আকাঙ্খাটার কোন জায়গায় আমরা অবস্থান করছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যদি সেই আকাঙ্খার কথাটা বলি, বাংলাদেশের ঘোষণাপত্রের কথা যদি উল্লেখ করি যে আমরা সাম্য, মানবিক মূল্যবোধের কথা যদি প্রথম ধরি। স্বাধীনতার ১০ই এপ্রিলের প্রথম ঘোষণার কথা যদি বলি এই দুটির একটির অবস্থান নেই। আর স্বাধীনতাত্তোর যদি বিজয় দিবসের পরবর্তী সময়কালের আমাদের সংবিধানের কথা যদি বলি, আমাদের সংবিধানের যে মূল কনসেপ্ট বা মূল প্রস্তাবনা যেটা যে এই রাষ্ট্রের গঠন প্রক্রিয়াতে কি ছিল? যদি সেই অর্থে বলি, তাহলে বলব মূল প্রস্তাবনার একটি ব্যত্যয় আছে। যেটাকে আমরা এখন বলি এর কোন সঠিকত্ত্ব নেই। ভুল বললে আমি হয়ত বা রাষ্ট্রের কাছে সংবিধান বিরোধী হয়ে যাব। সেজন্য আমি পরিষ্কার করে এই কথা বলি এমন একটি ব্যত্যয় এমন একটি মিথ্যাচার রয়েছে যেটি আজকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করছে এবং মুক্তিযুদ্ধকে ভিন্ন পরিচয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
যেমন সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে যে, একটি মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশটি স্বাধীন হয়েছে কিন্তু আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধারা প্রত্যক্ষভাবে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম আমরা মনে করি একটি সশস্ত্র মু্ক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই দেশটি স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং সংবিধানে তখনই পরিপূরক হতো যদি মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা শব্দ দুটির সংযোজিত থাকত। সেখানে একটি ফাঁকিঝুঁকি কার্যক্রম হয়েছে এখানে এবং এটিকে যদি আমি পরিষ্কার করে আরও বলি যে মুক্তিযুদ্ধের বা আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক দর্শন কি ছিল এবং বর্তমানে তার রাজনৈতিক দর্শন এখন কি আছে? যদি আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কথা বলি তিনি যে দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তিনি যে দর্শনের আলোকবর্তিকা দিয়েই আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছিলেন সেই জায়গাটায় যদি আমরা বলি তাহলে আমরা বলব যে তিনি পাকিস্তানিদের বৈষম্য, শোষণ, বঞ্চনার বিরুদ্ধেই জাতিকে জাগ্রত করেছিলেন। যে আমরা বাঙালি জাতি এবং এই পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকেরা আমরা নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। চাকরির ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানারকম বৈষম্যের শিকার হচ্ছি এবং সেই পাকিস্তানি স্বৈরশাসক গোষ্ঠির কাছ থেকে আমরা শোষণ বঞ্চনার শিকার হচ্ছি। মূলত যদি এই কয়েকটি শব্দের মাঝ দিয়ে ছয় দফা, পরবর্তী ছাত্র আন্দোলন, সব মিলিয়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল জাতির যে আমরা বৈষম্য ও শোষণ বঞ্চনার শিকার হচ্ছি।
এই তিনটি শব্দের সমীকরণের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতির ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে, বাঙালিরা শোষণ, বঞ্চনা এবং বৈষম্যহীন একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। যে জাতিরাষ্ট্র হবে ধর্ম নিরপেক্ষ এবং অসাম্প্রদায়িক জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আজকের বিজয় দিবসকে যদি আমরা বিবেচনা করি, তাহলে যদি স্বাধীনতাত্তোর সংবিধানের দিকে তাকাই তাহলে সংবিধানের মূল কনসেপ্ট হলো মৌলিক কাঠামো চারটি – গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ। আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি এই চারটির কোন জায়গাটাতে আমরা দাঁড়াই আছি। এ প্রশ্ন আমি যেমন করছি, প্রত্যেক নাগরিকের কাছে আমি প্রশ্ন করি আমরা কিন্তু সেই অবস্থানে কোনটার উপরেই দাঁড়িয়ে নাই। আবার যদি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা ভাবি আমরা সেখানে দাঁড়াইনাই। জাতিরাষ্ট্র বা বাঙালি ভাষাভাষি মানুষের জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শোষণ-বঞ্চনাহীন যে জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে দেখিয়েছিলেন সেই জায়গাতে তো আমরা নেই, আমরা ৪৮ বছরের রাজনীতি আমাদেরকে শিখিয়েছে সেটি হচ্ছে ঘুষ, দুনীতি, বৈষম্য, নারী ধর্ষণ থেকে শুরু করে অপ সংস্কৃতির একটি ধারা চলমান রয়েছে। যেটি জাতির জন্য আগামী দিনের ধ্বস নিয়ে আসবে। সেখান থেকে যদি এখন জাতি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে তাহলে কিন্তু প্রজন্ম যদি সেই জায়গাটা না বুঝতে পারে তাহলে আমাদের জাতির ধ্বংসটা অনিবার্য হয়ে দাঁড়াবে। আমরা ৪৮ বছরের স্বাধীনতার বিজয় দিবসে এসে এই কথাটা বারবার বলার চেষ্টা করছি এবং আমাদেরকে অনেকে ভয় দেখাচ্ছে, আপনারা রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে গ্রেফতার হবেন। তো আমরা বলি আমরা গ্রেফতার তো হয়েই আছি, আমরা এই রাষ্ট্রের মধ্যে,পরিবারের মধ্যে যে অবস্থানে আছি আমরা তো গ্রেফতার হয়েই আছি। শুধু চার দেয়ালের মধ্যে যাওয়াটা আমাদের বাকি আছে। ওখানে গেলে অন্তত খাওয়া দাওয়ার নিরাপত্তাটা পাব। সুতরাং বাইরের সমাজ সংস্কৃতির থেকে সেখানে অন্তত বাঁচতে তো পারব। কিন্তু সামনের যে দুর্ভোগ দেখছি স্বচক্ষে এগুলো তো আমরা হৃদয়ে সহ্য করতে পারছিনা। যে আমরা এত ত্যাগ শিকার করে যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলাম সেই রাষ্ট্রের এহেন পরিণতি, এহেন দুর্নীতি, এহেন অর্থনৈতিক পাচার, হাজার হাজার কোটি টাকা আমাদের চোখের সামনে দিয়ে পাচার হচ্ছে। অথচ আমরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছি। এজন্য একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি এটা খুব কষ্ট পাই।
রাষ্ট্র এখনও আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আমি স্বাধীন দেশ ও পতাকা দিতে পেরেছি কিন্তু গণমানুষের মুক্তি আসেনি। যেহেতু গণমানুষের মুক্তি আসেনি তাই আমারও মুক্তি আসেনি। তাই আজ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি মুক্তিযোদ্ধা নই। কেন নই, কারণ আমি একটি দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি এবং একটি পতাকা দিতে পেরেছি। কিন্তু মানুষের মুক্তি আসেনি। যেহেতু গণমানুষের মুক্তি আসেনি। আমারও মুক্তি আসেনি। তাই আমি মুক্তিযোদ্ধা নই। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধ নেই। সেখানে আমি আর একটি ধারা নতুন করে বলতে চাই। তাহলে আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে ভাষণ দিচ্ছেন যে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা দেশকে অর্জন করেছি। আমি বলেছি এটা মিথ্যা এটা ভেক কথা। কারণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা যায় না। স্বাধীনতার যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তি আসে। মুক্তির জন্য দ্বিতীয় লড়াই করতে হয়। বঙ্গবন্ধু সেটি কিন্তু বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার জীবনে উপলব্ধি দিয়ে বলেছিলেন অমার দল মাল্টিক্লাস একটি পার্টি এখানে ধনীক শ্রেণির লোকেরা আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার কারণে তাদের লুটপাটের ধারা অনেক বেড়ে গেছে। তো, আমি সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করতেনা পেরে বাকশাল গঠন করেছি এবং বাকশাল গঠন করে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এই লুটপাট, এই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। আর বাকশাল গঠন করার এই ভাষণের ১৫ দিনের মাথায় উনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এই যে প্রতি বিপ্লবী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী যে শক্তি সেই শক্তিটির দায়ে তিনি নিহত হলেন। আজকেও সেই ধারা থেকে আওয়ামীলীগ বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বেরিয়ে আসতে পারেনি এবং আমরা যে রাজনীতির ধারা দেখছি বের হবার সম্ভাবনা আদৌ নেই, যদি নতুন প্রজন্মকে আমরা জাগাতে না পারি। সেজন্য আমরা ক্ষুদ্র আকারে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা চেষ্টা করছি। আমরা বেশ কিছু এলাকা উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণ বঙ্গে সফর করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যে জাগ্রত চেতনা আমরা এখনও দেখছি এবং নতুন প্রজন্মকে যদি আমরা সময় নিয়ে জাগাতে পারি হয়ত জাতিকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর পথ আমরা দেখাতে পারব। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, এইগুলো লেখার কারণে, এমনকি ফেসবুকেও আমরা বন্ধুহীন হয়ে পড়ছি। অর্থাৎ হয়ত চেতনার জগতে তারা অনেক পিছিয়ে আছে। হয়তবা তাদের কাছ থেকে আমরা অনেক দূরে অবস্থান করছি, হয়ত বোঝাতে আমরা তাদেরকে ব্যর্থ হচ্ছি। অথবা উনারা আমাদের বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তো সেই যায়গাতেই স্পষ্ট লেখার কারণে মানুষ ভয়ে আমাদের লেখায় কোন লাইক কমেন্ট করছে না। আমি মনে করি রাজনৈতিক চেতনায় এমন একটি যায়গায় ধ্বস নেমেছে সেখান থেকে উত্তরণের পথ রাজনৈতিকভাবে সচেতন করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। এখানে ৪৮ বছরের রাজনৈতিক চেতনাহীন যে মানুষগুলোর জন্ম হয়েছে সেখান থেকে ঘুরে উঠে দাঁড়ানো অধিক কঠিন এবং রাজনীতি মানুষের মধ্যে যদি সচেতনভাবে না দাঁড়ায় জাতির টিকে থাকাও কঠিন হবে। আমরা সেই ধর্মের অন্ধ চোরাগলির পথে আবার ঢুকে যাব। সেখান থেকে বের হয়ে আসা আমাদের জন্য খুবই কঠিন হবে। (সমাপ্ত)
# আবুল বাশার, ভাইস প্রেসিডেন্ট, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা।
# সিনিয়র স্টাফ রিপাের্টার।
আরও পড়ুন : পর্ব -৩ আমি স্বাধীন দেশ ও পতাকা দিতে পেরেছি কিন্তু গণমানুষের মুক্তি আসেনি : আবুল বাশার
আরও পড়ুন : পর্ব – ১ : আমি স্বাধীন দেশ ও পতাকা দিতে পেরেছি কিন্তু গণমানুষের মুক্তি আসেনি : আবুল বাশার
আরও পড়ুন : আসলে একাত্তর সালের সময়টা মুখের কথায় বর্ণনা করা অত্যন্ত কঠিন : কামাল আহমেদ
আরও পড়ুন : রাজাকার যখন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তখন খুব খারাপ লাগে : আব্দুস সামাদ তালুকদার
আরও পড়ুন : রক্ত স্রোতে পবিত্র হয়ে জন্ম নিয়েছে বাঙালি জাতির স্বাধীন বাসভূমি বাংলাদেশ : ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ
আরও পড়ুন : আমাদের মতো মানুষের কাছে একাত্তরের স্মৃতি বিবিধ : আফসান চৌধুরী
আরও পড়ুন : একদিকে বিজয়ের উল্লাস, অন্যদিকে প্রিয় দুই শিক্ষকের মৃত্যু আমাকে বিধ্বস্ত করে ফেলেছিল : ডা. মাগদুমা নার্গিস রত্না
আরও পড়ুন : রেডিওতে পাক-সেনাদের আত্মসমর্পণের খবর শুনে আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে যাই : সাইফুল ইসলাম
লালসবুজের কথা’র ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা