অনলাইন ডেস্ক
গত ১০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশটি করোনাকালীন ২৫৬ দিন অতিবাহিত করেছে। করোনার প্রার্দুভাব ঠেকাতে প্রথম থেকেই অত্যন্ত সজাগ দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশেষ করে মৃত্যুহার কমাতে স্বাস্থ্যবিধি এবং নীতি নিয়মে বেঁধে দেওয়া হয় নাগরিকদের জীবনযাত্রা।
নানামুখী সচেতনতার পরও আমিরাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্থানীয়সহ মারা গেছে বিভিন্ন দেশের ৪৪৩ জন নাগরিক। তাদের মধ্যে বাংলাদেশিই রয়েছে ১৯৭ জন। যা মোট মৃত্যুর বিপরীতে কোনো একক দেশের নাগরিকের বৃহত্তর সংখ্যা।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দেশটিতে প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। ২০ মার্চ প্রথম মৃত্যু সনদে দুই ব্যক্তির নাম ওঠে। এরপর ২৬ মার্চ দুবাইয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথম বাংলাদেশি মারা যান।
শারজা প্রিমিয়ার মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তার ইলমি রহমান জানান, বাংলাদেশিদের চিকিৎসা নিতে অনাগ্রহ মৃত্যুর একটি বড় কারণ। আমিরাত সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে অত্যন্ত যত্ন সহকারে সেবা প্রদান করছে। তা সত্বেও বাংলাদেশিরা চিকিৎসা নিতে অবহেলা করেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের করোনা অধিক ঘায়েল করছে।
দুশ্চিন্তা এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে ৩৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীরাই বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এদিকে করোনায় আক্রান্ত মৃত প্রবাসীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে মৃত্যু সনদের পাশাপাশি দূতাবাস এনওসি সনদ প্রদান করছে স্ব স্ব পরিবারের কাছে।
ইস্যুকৃত এই সনদ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তিন লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন বলে জানান দূতাবাসের এক আধিকারীক।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ২০৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩ জনে।
ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শনিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৯টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৫৯টি।
এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২০ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮টি। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২০৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরও ২৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন এবং নারী ৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৫৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৫ জনে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা