চীনে আমরা এখন ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন ডাবল হচ্ছে চায়নাতে। আজ মৃত্যুর সংখ্যা ১০৬ জন। আক্রান্ত এখন প্রায় ৪৫০০ জন। করোনায় আক্রান্ত এমন ধারণা করা হচ্ছে সেই সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে, যা গত কালকের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।
আমি যেখানে আছি, আমার এই প্রভিন্সের নাম চংচিং (Chongqing) যেটা হুবেইর পাশের প্রভিন্স। লুনা ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে এই প্রভিন্সে হুবেই থেকে ৪ হাজার যাত্রি শুধুমাত্র বিমানে এসেছে এটা নিয়ে একটা খবর প্রকাশ হয়েছে। এই খবরটা জানার পর থেকে যারা আগে থেকে এখানে আছে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।আর প্রতিনিয়ত এইখানেও ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবার (২৮ তারিথ) রাত পর্যন্ত এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৬ জন, যা গতকাল ছিন ১৬৮। চীনা সরকার প্রথমত ভাইরাসের কারণে ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে ২৮ তারিখ পর্যন্ত যে ছুটি ছিল তা বাড়িয়ে ২ তারিখ পর্যন্ত করেছে।
আমরা এখন সবসময় নিজ রুমে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি মোটেই ভাল না। এইখানে নানান সিটি (Nanan city)’তে একটি সুপার সপ সিইবেস্ট (CEBEST) খোলা থাকছে অল্প সময়, মাত্র ৬ ঘন্টা। পরিবহন বন্ধ থাকায় কাঁচা বাজারের মজুদ কমেছে। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না পিয়াজ, আলু। মাঝে চালেরও সংকট দেখা দিয়েছিল দুইদিন। এরইমধ্যে খাবার পানির সাপ্লাইয়ার কম্পানি পানি সাপ্লাই অফ করে দিয়েছে আমাদের।
আমরা বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা ঠিক করেছিলাম এবার ছুটিতে বাড়ি যাবনা। কিন্তু চীনের এখনকার পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে আমরা দেশে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সাথে থাকা শ্রীলঙ্কান ছাত্রদের ২২ তারিখ তাদের সরকার একটি স্পেশাল ফ্লাইটে দেশে নিয়ে গেছে। এখন আমাদের নিরাপদে দেশে ফেরার পালা।
# ফাহিম সরকার, চংচিং জিয়াটং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা