‘আমরা এটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই’

অনলাইন ডেস্ক

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘কক্সবাজারে আসার উদ্দেশ্যে একটাই। সেটা হলো গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারে একটি ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা উপলক্ষেই আমাদের এখানে আসা। এখানে এসে আমরা এই এলাকার সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসার ও পুলিশের সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ যেকোন প্রয়োজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মর্মাহত।’

বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি লাগোয়া সেনাকল্যাণ ট্রাস্টের রেস্ট হাউস ‘জল তরঙ্গে’ বিফ্রিং করেন সেনাবাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, ‘আমরা এটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই। যে ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা গতকাল তাদের কাজ শুরু করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ও তদন্ত কমিটির প্রতি আমাদের আস্থা আছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরে এমন কিছু হবে না। এ ঘটনা নিয়ে যেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত চিড় ধরানোর মতো ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকারও অনুরোধ করেন তিনি।

আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে আইনের শাসন আছে। সংবাদমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। বিচার বিভাগ মুক্ত। এ ঘটনা নিয়ে অনেকে উসকানিমূলক কথা বলার চেষ্টা করছেন। যারা উসকানি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।’

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক। মেজর (অব.) সিনহার মৃত্যুতে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন ব্যত্যয় হবে না। কমিটি প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করবে। কমিটি যে সুপারিশ দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এর আগে দুপুর পৌঁনে ১টার দিকে একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে সেনাপ্রধান ও আইজিপি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে তারা সৈকতের বালিয়াড়ি লাগোয়া সেনাকল্যাণ ট্রাস্টের রেস্ট হাউস ‘জল তরঙ্গে’ ওঠেন। সেখানে দুই বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা মতবিনিময় করেন।

fblsk