বাজারগুলোতে আবারও পিয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত শুক্রবার পিয়াজের দাম কেজিতে বাড়ে ২০ টাকা। শনিবারও কেজিতে পিয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। এতে ভালো মানের পিয়াজের কেজি ২২০ এবং নিম্ন মানের পিয়াজের কেজি ১৭০ টাকায় পৌঁছেছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। গত দুই দিনে ঢাকার পাইকারি বাজারে পিয়াজের কেজি ১৭০ পযর্ন্ত নামার পর আবারও ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারেও দাম বাড়তে শুরু করেছে।
ঢাকার বাইরে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত রফতানি বন্ধ করার পর থেকে পিয়াজের দাম বাড়ছিল লাফিয়ে লাফিয়ে। কেজি ৪০-৫০ থেকে পিয়াজের দাম পৌঁছায় ২৫০ টাকায়। যা সম্প্রতি কমে ১৮০-২০০ হয়েছিল। নিম্ন মানের পিয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১২০-১৪০ কেজি দরে।
৩০ জুন পর্যন্ত আন্দোলনে না যাওয়ার ঘোষণা শাজাহান খানের
জানা গেছে, গত তিন মাস ধরেই দেশের পিয়াজের বাজার অস্থিতিশীল। এ সময়ের মধ্যে কখনও দাম বাড়ছে আবার কখনো কিছুটা কমছে। এর মধ্যে ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর দুই মাস ধরে দাম বাড়তে বাড়তে গত সপ্তাহের শুরুতে দেশি পিয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতিকেজি ২৬০ টাকায় পৌঁছেছিল। সেই সঙ্গে মিয়ানমার, মিশর, চীন ও তুরস্কের পিয়াজের দামও বেড়েছিল পাল্লা দিয়ে।
এরপর ফরিদপুর, পাবনা, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলার বাজারে নতুন মুড়িকাটা পিয়াজ ওঠার পাশাপাশি কার্গো বিমানে করে বিদেশ থেকে পিয়াজ আনার ঘোষণায় দাম কমতে থাকে। দুই-তিন দিনের মধ্যে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা কমে ১৫০-১৬০ টাকায় চলে আসে দেশি পিয়াজের কেজি।
এরমধ্যে নতুন সড়ক আইন সংশোধনের দাবিতে বুধবার পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের দিন থেকেই পিয়াজের দাম আবার বাড়তে থাকে। গত দুই দিন ধরে পাইকারি বাজারে পিয়াজের দাম আবারও দুইশ’র ঘরে চলে গেছে।
উল্লেখ্য, ভারত রফতানি বন্ধ করায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে পিয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠে। দফায় দফায় বাড়তে থাকে পিয়াজের দাম।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা