অনলাইন ডেস্ক
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের প্রকৃত উন্নয়নে বেসিস জাপানের আইটি মার্কেট অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের সুবিধার্থে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করছে। বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জাপানে বাংলাদেশের আইটি শিল্পের রফতানি বাড়িয়ে তুলতে এই ডেস্ক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
জাপানের আইটি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে বেসিস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বেসিস জাপানের বাজারে বাংলাদেশি আইটি কোম্পানিগুলোর অবস্থান ও আস্থা তৈরিতে গত কয়েক বছর ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বেসিস জাপান ডেস্কের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর তার বক্তব্যে বলেন, বেসিস জাপান ডেস্ক জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার একটি কার্যকরী মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭০টি বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠান জাপান ডেস্কে মাসিক ফি প্রদানের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ডেস্ক বেসিস সদস্যদের জাপানে ব্যবসা সম্প্রসারণে এবং জাপানি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ অফশোর ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপনে উৎসাহিত করবে।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বেসিস জাপান ডেস্ক চালুর এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বেসিসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। জাপান এবং বাংলাদেশের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেসিস জাপান ডেস্ক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে বক্তারা প্রত্যাশা করেন। জাপানে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে তুলে ধরা এবং জাপান থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে বেসিস জাপান ডেস্ক সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করবে।
করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ‘বেসিস জাপান ডেস্ক’ বিশেষভাবে জাপান মার্কেটের ওপর কাজ করবে। এই ডেস্কের কাজের অংশ হিসেবে থাকবে বি টু বি ম্যাচমেকিং; জাপানি আইটি কোম্পানির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন; জাপান মার্কেটের ওপর গবেষণা; জাপানে অনুষ্ঠিত সকল ইভেন্টে অংশগ্রহণ; জাপানি ব্যবসা এবং সংস্কৃতির ওপর গ্রুমিং সেশন; জাপান হতে আগত ব্যবসার নতুন নতুন সুযোগ সম্পর্কে জানানো ইত্যাদি।
এসকল পদক্ষেপ জাপানে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে এবং এই খাত থেকে রপ্তানি আয় বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক বেসিস সদস্য এই সেবার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এই সেবা সরবরাহের জন্য একটি নির্দিষ্ট ই-মেইল অ্যাড্রেস ও ফোন নাম্বার থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বেসিসের পরিচালক এবং বেসিস জাপান ফোকাস গ্রুপের ডিরেক্টর ইনচার্জ রাশাদ কবিরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, বিগত ৩/৪ বছরে বাংলাদেশের আইটি কোম্পানিগুলো জাপান মার্কেটে অনেক ভালো কাজ করছে, ৫০টিরও বেশি আইটি কোম্পানি বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাজ জাপান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। যদি এই মার্কেটকে আমরা সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারি, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শুধু জাপান মার্কেট থেকেই বছরে হাজার কোটি টাকা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আগামীদিনে জাপান মার্কেটে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর অবস্থান কেমন হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করছে এখনকার সময়ে আমাদের মার্কেটিং স্ট্রাটেজির ওপর। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত আর উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে দেশের অর্থনীতির চেহারাই বদলে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা