অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে জেনোসাইড ও গণহত্যার বহু ইতিহাস আছে। তবে উনিশশ’একাত্তর সালে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতিকে নিধন ও নিশ্চিহ্ন করতে পাকিস্তানী সামরিক শাসকদের জেনোসাইডের ধরন একেবারেই আলাদা। তেপান্ন বছর আগের একাত্তরের ২৫শে মার্চ রাতে শুধু ঢাকা শহরেরই অল্প কিছু এলাকায়, অল্প সময়ে যে বিশাল বাঙালি জনগোষ্ঠীকে হত্যা করা হয়, তা’ও বিরল।
প্রথম আক্রমণেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’শ শিক্ষার্থী, ২০ জন শিক্ষক ও ৩৩ জন কর্মচারীকে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানায় ইপিআর, শাখাঁরী বাজার, নীলক্ষেত, আজিমপুরসহ আরও কিছু বেসামরিক আবাসিক এলাকায় চলে নির্বিচারে গণহত্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির পন্ডিত অধ্যাপক, একাত্তরের শহীদ জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতার কন্যা মেঘনা গুহ ঠাকুরতা তখন দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তেপান্ন বছরেও তার কাছে সেই নৃসংসতার ক্ষত একটুও কমেনি।
পাকিস্তানী হানাদারদের ব্যাপক গণহত্যাযজ্ঞের স্বীকৃতি, বিচার ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আজও বাংলাদেশের দীর্ঘশ্বাস বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ, জেনোসাইড যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক গবেষক শাহরিয়ার করিব।
বিশ্বমানবতার স্বার্থে ইতিহাসে বাঙালির বিরুদ্ধে পাকিস্তানীদের এই নৃশংস জেনোসাইডের স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা দেখেন গবেষকরা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা