অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ সবসময় মহারণের তকমা পেয়ে আসছে। এই ম্যাচের উত্তেজনা দুই দেশের ১৬০ কোটি জনতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। কার্যত পুরো ক্রিকেট দুনিয়াই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে। মরুর বুকে ম্যাচটিকে ঘিরে তর্জন-গর্জন চলছে বেশ। ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রিয় দলের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন। তবে সব আকর্ষণ লুকিয়ে ২২ গজের লড়াইয়ে।দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের জটিলতায়, বড় আসর ছাড়া দেখা হয় না। আর তাই দুইদলের ক্ল্যাসিক দ্বৈরথ চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয় ক্রিকেট প্রেমীদের মাঝে।ক্রিকেটিয় সৌন্দর্য্যে আনন্দ-বেদনার মতোই, যার কোনো সীমারেখা নেই। আর তাই কূটনৈতিক দূরত্ব বাধা হয় না রোহিত-বাবরদের সম্পর্কে। দুই অধিনায়কের নির্মল আড্ডার আড়ালে কি টের পাওয়া যাচ্ছে লড়াইয়ের ঝাঁঝ?টিম ইন্ডিয়া নিশ্চয়ই ভুলেনি পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ১০ উইকেটে হারের ক্ষত। এশিয়া কাপে সেই যন্ত্রণায় প্রলেপ দিতে চাইবে কোহলিরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর, এই ফরম্যাটে ৭টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে মেন ইন ব্লু। হারেনি একটিও। র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল ভারতকে হারানো এবার সহজ হবে না পাকিস্তানের জন্য।
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, নতুন টুর্নামেন্ট, নতুনভাবে শুরু করতে চাই। অতীতে কি হয়েছে তা নিয়ে ভা্বছি না। আমাদের পুরো মনোযোগ নিজেদের খেলায়। এই আসর থেকে কিছু অর্জন করতে চাই। পিচ দেখে সিদ্ধান্ত নিব পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশ কেমন হবে।
পাকিস্তান দলের মূল ভরসা দুই ব্যাটার বাবর-রিজওয়ান। বাবর এই ফরম্যাটে এক নম্বর। আর রিজওয়ান র্যাংকিংয়ের ৩ নম্বরে। তবে শাহীন আফ্রিদি আর ওয়াসিমকে চোটের কারণে হারিয়ে বোলিং শক্তি খর্ব হয়েছে পাকিস্তানের। যদিও এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় নেই দল।
পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক শাদাব খান বলেন, ইনজুরির কারণে শাহিন, ওয়াসিম নেই। ক্রিকেটে এমন হতেই পারে, এটা দলীয় খেলা। স্কোয়াডের বোলারদের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। আমাদের দলে ম্যাচ উইনারের অভাব নেই।ইনজুরি বাধায় পাকিস্তান যেমন শাহিন আফ্রিদিকে পাচ্ছে না, তেমনি ভারত মিস করবে তাদের মূল পেসার বুমরাহকে। টিম ইন্ডিয়ার দুশ্চিন্তার কারণ বিরাট কোহলির অফফর্ম। ছন্দে ফিরতে উই্ন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে বিরতি নিয়েছিলেন এই ব্যাটিং জিনিয়াস।
ভারতের ব্যাটার বিরাট কোহলি বলেন, লোকে আমার কাছে জানতে চায়, মাঠে এতো আক্রমণাত্মক কিভাবে থাকি? আমি শুধু বলি, সবই খেলাটার প্রতি ভালোবাসা থেকে। যে কোনো মূল্যে দলকে জেতাতে চাই। কিন্তু কোথাও একটা চিড় ধরে। মানসিকভাবে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিলাম। পুরোনো রূপে ফিরে আসতেই আমি বিরতি নেই।
টি-টোয়েন্টিতে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ৯ বার। যেখানে টিম ইন্ডিয়ার ৬ জয়। আর পাকিস্তানের মাত্র ২টি। এশিয়া কাপেও ভারত এগিয়ে। ১৪ বারের লড়াইয়ে ভারতের ৮-৫ ব্যবধানে জয়। আসরে সর্বোচ্চ ৭ শিরোপা মেন ইন ব্লুর। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয় দুবার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা