অনলাইন ডেস্ক
১৯৪২ সালের ১১ই অক্টোবর ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন অমিতাভ বচ্চন। তার বাবা প্রখ্যাত কবি হরিবংশ রাই বচ্চন ও মা তেজি বচ্চন। ২৬ বছর বয়সে কলকাতার ‘ব্ল্যাকার অ্যান্ড কোং’ জাহাজ কোম্পানির ৩০০ রুপি বেতনের চাকরি ছেড়ে মুম্বাই পাড়ি জমান তিনি। তার লক্ষ্য ছিল যেভাবেই হোক বড় পর্দার হিরো হবেন। ১৯৬৯ সালে ‘সাত হিন্দুস্তানি’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন অমিতাভ।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো-‘বাবুর্চি’, ‘আনন্দ’, ‘গুড্ডি’, ‘সওদাগর’, ‘দিওয়ার’, ‘শোলে’, ‘ডন’, ‘সুহাগ’, ‘লাওয়ারিশ’, ‘দো আনজানে’, ‘অমর আকবর অ্যান্থনি’, ‘সিলসিলা’, ‘শাহেনশাহ’, ‘ব্ল্যাক’, ‘সরকার’, ‘অগ্নিপথ’, ‘বুম’, ‘বাগবান’, ‘নিঃশব্দ’, ‘পা’ প্রভৃতি।
রুপালি পর্দার এই নায়ক রাজনীতিতেও যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তাদের অনেক দিনের পারিবারিক বন্ধু রাজীব গান্ধীর সমর্থনে অমিতাভ অভিনয় থেকে সংক্ষিপ্ত বিরতি নিয়ে রাজনীতিতে নাম লেখান। এলাহাবাদ লোকসভা আসনের জন্য উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচ এন বহুগুনার বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়ান এবং সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তবে তার রাজনৈতিক জীবন সংক্ষিপ্ত ছিল; তিন বছর পর পদত্যাগ করেন তিনি।
রুপালি পর্দার মতো ব্যক্তিগত জীবনেও সফল অমিতাভ বচ্চন। ১৯৭৩ সালের তেসরা জুন বাঙালি অভিনেত্রী জয়া ভাদুড়ীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে এখনো বলিউডের আইকনিক দম্পতি তারা। তাদের শ্বেতা নন্দা ও অভিষেক বচ্চন নামে দুই সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সিনেমায় অবদানের জন্য অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। ‘অগ্নিপথ’ (১৯৯০), ‘ব্ল্যাক’ (২০০৫), ‘পা’ (২০০৯), ‘পিকু’ (২০১৫) সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। পদ্মশ্রী (১৯৮৪), পদ্মভূষণ (২০০১), পদ্মবিভূষণ (২০১৫) পুরস্কারও জমা পড়েছে তার প্রাপ্তির ঝুলিতে। তা ছাড়াও অসংখ্যা সম্মাননা পেয়েছেন এই শিল্পী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা