অনলাইন ডেস্ক
কবরস্থানে আসা মৃত ব্যক্তির স্বজনরা কবর জিয়ারত শেষে বা আগে এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। এখানে নামাজ আদায় করে আলাদা প্রশান্তি পান দূরদূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা। মসজিদে দাঁড়িয়ে কবরস্থানের সারি সারি কবরগুলো দেখতে পান তারা।
আজিমপুর কবরস্থানের আওতার মধ্যে ২৩ কাঠা জমির ওপর তৈরি এ মসজিদের আয়তন ৩০ হাজার ২২ বর্গফুট। মসজিদটিতে প্রবেশ করলে প্রথমেই নজর কাড়বে এর নান্দনিক সব কারুকাজ। মসজিদের মেঝে ও দেয়ালে উন্নতমানের বিশেষ ধরনের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় মসজিদের ভেতরে সবসময় একটা সুশীতল আবহ বিরাজ করে।
মসজিদে আজানের বাংলা অর্থ বড় বড় অক্ষরে লেখা আছে। উঁচু মিনারে লাগানো মাইকের মাধ্যমে আজানের ধ্বনি ছড়িয়ে যায় বহুদূরে।
নারী-পুরুষের জন্য এ মসজিদে রয়েছে আলাদা অজু ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা। মসজিদটিতে একসঙ্গে এক হাজার ৫২০ জন মুসল্লি এবং একসঙ্গে ৭০ জন নারী পৃথকভাবে নামাজ আদায় করতে পারেন। রমজানসহ মুসলমানদের দুই ঈদে দুই হাজারের বেশি মানুষ একত্রে নামাজ পড়তে পারেন। নামাজের কাতার মেলাতে বিশেষ আলোর ব্যবস্থা।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের নামে নামকরণ করা মসজিদটির। ডিএসসিসি তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের উদ্যোগে নতুন রূপ দেয়া হয় মসজিদটির। ২০১৬ সালে এই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালে শেষ হয়।
মসজিদ সংশ্লিষ্টরা বলেন, মসজিদের সঙ্গে আজিমপুর কবরস্থানের একটি মেলবন্ধন রাখা হয়েছে। এটি নকশাকারদের অনন্য কৃতিত্ব। সব ধরনের আধুনিক সুবিধা রাখা হয়েছে মসজিদটিতে। যা সবাইকে আকৃষ্ট করে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার বাবা ২০২২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। আজিমপুর কবরস্থানে তাকে কবর দেওয়া হয়েছে।
হাবিবুর বলেন, বলতে গেলে প্রতি সপ্তাহে দুই তিনবার করে আব্বার কবর জিয়ারত করতে আসি। কবর জিয়ারত করার আগে বা পরে মেয়র হানিফ মসজিদে নামাজ পড়ি। এই মসজিদ থেকে সারি সারি সব কবর দেখা যায়। এখানে নামাজ পড়ে বাবার জন্য দোয়া করি , খুব শান্তি লাগে মনে। এছাড়া মসজিদটির আধুনিক কারুকাজ মুগ্ধ করে। অনেকে নামাজ শেষে কোরআন পাঠ করে।
তিনি বলেন, গাড়ি নিয়ে এলেও সমস্যা নেই। মসজিদটির নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা আছে।ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে দুই তলা এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা। ২৩ কাঠা জমির ওপর বাহারি ইটের তৈরি এ মসজিদের আয়তন ৩০ হাজার ২২ বর্গফুট। এর মধ্যে সেমি বেজমেন্ট ১১ হাজার ৩৫০ বর্গফুট, গ্রাউন্ড ফ্লোর ১১ হাজার ৩৫০ বর্গফুট ও দ্বিতীয় তলা ৭ হাজার ৫০০ বর্গফুট। এছাড়া ১১ হাজার ৩৫০ বর্গফুটের প্লিন্থ এরিয়া রয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা