মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
বিআইডব্লিউটিসি (শিমুলিয়া ঘাট) ব্যবস্থাপক সাফায়াত আহম্মেদ জানান, আজও সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে আসা লোকের চাপছিলো। লোকের পাশাপাশি গাড়ির চাপও ছিলো বেশী। এদের মধ্যে বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমজীবী মানুষের সখ্যাই বেশী বলে মনে হয়েছে। সকাল থেকে ঘাট দিয়ে ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
তিনি জানান, প্রতিদিনই কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে আসা যাত্রীদের চাপ থাকছেই। যাত্রীরা এখানে কোনভাবেই সামাজিক দূরত্ব নেই । ফলে ঘাটে বিআইডব্লিউটিসি’র বাণিজ্য, মেরিন ও প্রকৌশলী বিভাগের তিন সিফটের কর্মরত প্রায় ৫ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী করোনার আশঙ্কার মধ্যদিয়েই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। স্বাস্থ সুরক্ষায় পিপিইসহ যা দেয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। কর্মকর্তারা নিজেরাই টাকা দিয়ে সুরক্ষার জিনিসপত্র কিনে নিতে হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গ থেকে আসা শ্রমীকরা জানান, চাকুরী বাচাতে ও জীবিকার তাগিদে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে বাচঁতেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন তারা। ফেক্টুরী থেকে বলছে এখন চাকুরীতে আসলে চাকুরী থাকবে কিনা তা বলতে পারবেনা। তাই চাকুরী হারানোর ভয়ে চাকুরী বাঁচাতেই মূলত কষ্ট হলেও আমরা যাচ্ছি। গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। এ জন্য বাড়তি ভাড়ার গুণতে হচ্ছে শ্রমিকদের।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) কাবিরুল ইসলাম খা জানান, ঢাকাসহ বিভিন্ জেলায় ফেক্টরী ও কলকারখানা খোলে ফেলায় এসব শ্রমিকরা আসায় চাপ পড়ছে শিমুলিয়া ঘাটে। তবে সরকারী নির্দেশনায় ঢাকার ভিতরে যে সব শ্রমিক রয়েছে তাদের দিয়েই প্রতিষ্ঠান চালানোর কথা রয়েছে। সেই মোতাবেক দক্ষিণবঙ্গের মাদারিপুর, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জসহ কয়েকেটি জেলায় কথা বলা হয়েছে যাতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া শ্রমিকরা যাতে কাঁঠালবাড়ি ঘাট দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে না আসেন। ঘাটের বিআইডব্লিউটিকেও বলা হয়েছে তারা যেন ফেরিতে যাত্র না উঠানো হয়। প্রশাসনিক টহল জোরদারও করা হয়েছে। এর পরেও মানুয় আসছে। এতে করোনার শঙ্কাও রয়েছে। শিমুলিয়া মোড় এলাকায় পুলিশের টহল পাটি রয়েছে। সেনাবাহীনিও কাজ করছে। ঘাট দিয়ে আসা যাত্রিদের জিজ্ঞাসা করলে চিকিৎসার কাজে যাচ্ছেন বলে চিকিৎসা কাগজ দেখান।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা