অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কে এ পর্যন্ত যতজনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ ইতোমধ্যে এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে অ্যান্টিবডি টেস্টের ফলাফল থেকে।
তিনি জানান, প্রায় ৩ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
রাজ্যজুড়ে চালানো জরিপে দেখা যায়, লঙ আইল্যান্ডে এই হার ১৬.৭%, ওয়েশ্চাস্টার এবং রকল্যান্ড কাউন্টিতে ১১.৭% এবং রাজ্যের বাদবাকী স্থানে ৩.৬%।
এ থেকেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা না থাকা নিউ ইয়র্কবাসীর সংখ্যা ২৭ লাখের মতো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যারা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েও বেঁচে গেছেন।
নিউ ইয়র্কের সরকারি হিসাবে যত মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে তার সঙ্গে এই ২৭ লাখ মানুষকে যোগ করলে রাজ্যজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ গুণেরও বেশি।
তবে অ্যান্টিবডি মানুষকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে বা এই প্রতিরোধ ব্যবস্থা কতক্ষণ বজায় থাকবে তা এখনো জানা যায়নি।
যদিও জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বলছেন, নিউ ইয়র্কে অ্যান্টিবডি টেস্টের যে ফল দেখা যাচ্ছে তা এক সুখবর। কারণ, এতে সরকারি হিসাবের চেয়ে ভাইরাসটির প্রাণঘাতী হওয়ার হার কমের লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে।
সমাজে করোনাভাইরাস কতটা বিস্তার লাভ করেছে তা যেমন অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় বোঝা যায়, তেমনি কার দেহে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং কে কে কাজে ফিরতে পারবেন তাও বোঝা যায়। তাই এ পরীক্ষার ফল নির্ভুল হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
নিউ ইয়র্কে এ পরীক্ষার যে ফল এসেছে তাতে লোকজনকে কাজে পাঠানোর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্য কর্মকর্তারা।
তবে রাজ্যের শীর্ষ রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক কর্মকর্তা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ফল যে নির্ভুল নাও হতে পারে সে ব্যাপারে এরই মধ্যে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, এ ধরনের পরীক্ষায় “ভুলক্রমে নেতিবাচক কিংবা ভুলক্রমে ইতিবাচক” ফলও আসতে পারে।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা