বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবি : সৈয়দ রাশিদুল হাসান।
সৈয়দ রাশিদুল হাসান
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধূ শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা আমার দেখা নয়া চীন। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০ এর উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘুরে দেখেন মেলা প্রাঙ্গণ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্যের মান আরও উন্নত করে সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে দিতে চায়। এই অমর একুশে বইমেলার মধ্য দিয়ে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিকে কেবল বাংলাদেশের মধ্যেই নয়, বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে চায়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা তৃতীয় বই “আমার দেখা নয়া চীন”এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ১৯৫২ সালের ২-১২ই অক্টোবর চীনের পিকিংযে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলনে পাকিস্তান দলের প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে অংশ গ্রহন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৪ সালে রাজ বন্ধি থাকা কালে স্বৃতিনির্ভর এ ভ্রমন তিনি রচনা করেন। এ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ,সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মনোভাব,বাংগালীর চেতনার গভীর পরিচয় মেলে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে তার স্মৃতির প্রতি এ বছরের বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৯ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য), মকিদ হায়দার (কবিতা), ওয়াসি আহমেদ (কথাসাহিত্য), স্বরোচিষ সরকার (প্রবন্ধ / গবেষণা), খায়রুল আলম সবুজ (অনুবাদ), রহিম শাহ (শিশুসাহিত্য), রতন সিদ্দিকী (নাটক), নাদিরা মজুমদার (কল্প-বিজ্ঞান), ফারুক মঈনউদ্দিন (আত্মজীবনী / ভ্রমণকাহিনী) এবং সাইমন জাকারিয়া (লোককাহিনী)।
উল্লেখ্য, ৩ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন বিকাল ৪টায় মেলা অনুষ্ঠানের মূলপর্বে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সেমিনারে বঙ্গবন্ধু এবং তার জীবন ও রচনা সম্পর্কিত বই নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে আগের বছরের মতো বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমির সামনে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি ইউনিট মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
রবি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা