অনলাইন ডেস্ক
মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘২০০৮ সালের শেষের দিকে মাত্র ছ’ মাসের জন্য ওমান থেকে বাংলাদেশে এসেছিলাম। এখানে আসার পর আমার তেমন কোনো বন্ধু-বান্ধব না থাকায় অনেকটা ডিপ্রেশনে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। এরপর মাথায় চিন্তা এলো যদি এখানে লাক্স এর কম্পিটিশনে যাওয়া যায় তাহলে হয়তো কিছু বন্ধু পাবো। সেই চিন্তা থেকেই ২০০৯ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে আমি বিজয়ী হই, এটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না তখন! এরপর বিজ্ঞাপন করলাম এবং তারপরে অভিনয়ে দীর্ঘ পথচলা। আজকের এই অর্জন বা অবস্থান যেটাই বলি তার পেছনে আমার বাবা-মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। কারণ আমার তারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। আমার মা আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, এগিয়ে যাবার পথে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বাবা-মায়ের প্রতি আমরা ভালোবাসাটা প্রকাশ করতে পারি না তবুও তারা সেটা বোঝেন। আমি ভীষণ ভাগ্যবতী, এমন পরিবারে জন্ম নেওয়ায়। তারা সাপোর্ট না করলে হয়তো এতদূর আসতে পারতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনয়েও নিয়মিত থাকবো, এটা আগে ভাবিনি। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আমি স্টিলেই ফোকাস দিয়েছি বেশি। আমার কাছে মনে হতো অভিনয় থেকে মডেলিংটা সহজ; তাই এখানেই থাকি। কিন্তু ’১৩ এর পর থেকে অভিনয়েই বেশি মনোযোগ দেই। তখনও যখন অভিনয় করতাম, কত কথা শুনতাম মানুষের কাছে! অনেকেই বলতো, মডেলরা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হতে পারে না। সেখানেও অনেকের কটুক্তি ও সমালোচনার শিকার হয়েছিলাম। অনেকে আমাকে নিয়ে হাসাহাসিও করেছে। দেখতে বিদেশি, ভালোভাবে কথা বলতে পারিনা-এরকম অনেক সমালোচনা শুনেছি কিন্তু কোনো প্রতিউত্তর দেইনি। অভিনয় করতে গিয়েও এরকম অনেক কিছু শুনেছি আর চুপচাপ সয়ে গিয়েছি।
আমার কথা হলো, কথায় নয়, আমি কাজেই আমার যোগ্যতা প্রমাণ করবো। কাজ দিয়েই সবার সমালোচনার জবাব দিতে চেয়েছি। আমি নিজে সমালোচনা করতে পছন্দ করি না, আমার নামে কেউ কিছু বললেও সেসব কানে নেই না। আমি শুধু কাজটাতেই ফোকাস দেওয়ার চেষ্টা করি সবসময়। কারণ, দিনশেষে কাজটাই কথা বলবে। আমি কাজে বিশ্বাসী। আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের এই পথ চলায় যারা আমাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন সেসব পরিচালক, সহকর্মী, ভক্ত অনুরাগী এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা সবাই আমাকে তাদের ভালোবাসার চাদরে সবসময় মুড়িয়ে রেখেছেন। এমন ভালোবাসাতেই সারাজীবন বেঁচে থাকতে চাই।’
অভিনয় নৈপুণ্যে দর্শক মনে ঠাঁই করে নেওয়া এ অভিনেত্রী বর্তমান সময়ে টেলিভিশন পর্দার এক অপরিহার্য নাম। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ৪৪৫টিরও বেশি মতো নাটকে। বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে প্রায় ৮০টিরও বেশি। এই অঙ্গনে পা মাড়িয়ে একটু একটু করেই করেই অভিনয় নৈপুণ্যে নিজের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। হাঁটতে চান আরও অনেকটা পথ, দু হাতে কুড়াতে চান ভালোবাসা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা