অনলাইন ডেস্ক
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় দণ্ডিত দুই পলাতক খুনি অথবা ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের তথ্যের জন্য ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪২ কোটি ৮৯ লাখ টাকারও বেশি।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক টুইটে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে বেরোনোর সময় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করে এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে। ওই হামলায় জড়িত থাকায় বাংলাদেশের একটি আদালত ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিয়েছে। আসামিদের মধ্যে দুজন- সৈয়দ জিয়াউল হক (ওরফে মেজর জিয়া) এবং আকরাম হোসেনের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছিল এবং তারা এখনো পলাতক।
এরপর একটি ফোন নম্বর ও টুইটার হ্যান্ডেলের কথা উল্লেখ করে পোস্টারে বলা হয়, জিয়াউল হক, আকরাম হোসেন বা হামলার সঙ্গে জড়িত অন্য কারও সম্পর্কে আপনার কাছে কোনো তথ্য থাকলে নিচের নম্বরটি ব্যবহার করে সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমাদের জানান। তার জন্য আপনি পুরস্কারও পেতে পারেন।
উল্লেখ্য, পদার্থবিদ অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি মুক্তমনা ব্লগ সাইট পরিচালনা করতেন। জঙ্গিদের হুমকির মুখেও ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে তিনি বইমেলায় অংশ নিতে দেশে এসেছিলেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে হামলার শিকার হন অভিজিৎ। জঙ্গিদের চাপাতির আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন তার স্ত্রী।
হত্যাকাণ্ডের ছয় বছরের মাথায় চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ হত্যার রায় দেন আদালত। রায়ে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
মামলার আরেক আসামি উগ্রপন্থি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের মধ্যে জিয়া ও আকরাম শুরু থেকেই পলাতক।