অনলাইন ডেস্ক
এর আগে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় অবস্থান কর্মসূচি।
বক্তারা বলেন, সরকারি মহিলা কলেজের প্রবেশপথ দীর্ঘদিন ধরে দখল ও অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনার কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসন পূর্বে উচ্ছেদের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। উপরন্তু বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করে পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা চলছে, যা শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না হক, তানজিনা আক্তার, ইসরাত জাহান তানিয়া, সুমানা হক, জান্নাতুল ফেরদৌসী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের শিক্ষার্থী সাবের হোসেন, আরিফ বিল্লাহ আজিজি , ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ। তারা বলেন, মহিলা কলেজের আপুরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছে। আমরা চাই কলেজের সীমানা প্রাচীর ও ফটক যেন দ্রুত নির্মাণে যে আন্দোলন করছে তা যেন প্রশাসন বাস্তবায়ন করে।
শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের জেলা প্রশাসন বিপরীতে অবস্থান করছে বলে অভিযোগ করেছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ কর্মসূচিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজ ও সিটি কলেজ, ইউনাইটেড কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা সংহতি জানায়।
বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আজকের মধ্যেই পদক্ষেপ নিন। কলেজের মর্যাদা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো বিলম্ব মেনে নেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য গত কয়েক বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের এই দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। এদিকে কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পাল্টা বিক্ষোভ ও ধর্মঘট করেছিলেন বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতৃবৃন্দ। পরে ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা আদালতে মামলা দায়ের করে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা