দেশে কয়েক দশক ধরে সুনামের সাথে সাংবাদিকতা করা কয়েকজন সুপ্রতিষ্ঠিত সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলকভাবে হঠাৎই অসত্য ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে মানহানি করা হয়েছে। গেল শুক্রবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠী নাম-ঠিকানাহীন অপ্রচলিত ওয়েবপেইজ থেকে এমন মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করে।
দৈনিক ইত্তেফাকের পলিটিক্যাল এডিটর ফারাজী আজমল হোসেন, বিডি-জার্নালের বিশেষ প্রতিনিধি শামীম সিদ্দিকী ও দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান (মিঠুন মোস্তাফিজ) এর বিরুদ্ধে সিএনএন বাংলা, স্টারবিডি নিউজ২৪.কম, ভোরের পাতা ও সিলেট টাইমস নামের ওয়েবপেইজে তাদের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে মানহানি করে বলে অভিযোগ করেন তারা।
ওয়েবপেইজের ওই খবরে কয়েক দশক ধরে সুনামের সাথে সাংবাদিকতায় প্রতিষ্ঠিত তিন সাংবাদিককে কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এমনকি তাদের কোনো বক্তব্য গ্রহণ না করেই নরসিংদীর বহিস্কৃত যুবমহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ইস্যূতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেন, শামীম সিদ্দিকী ও মিঠুন মোস্তাফিজ সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করেন।
অবৈধ ওয়েবপেইজ দিয়ে সাংবাদিকদের মানহানির ঘটনায় সোমবার যৌথভাবে নিন্দা জানায় দেশের সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে। এক বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এমন হীন অপচেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, “নাম সর্বস্ব অনলাইনে অসৎ উদ্দেশ্যে, কল্পনাপ্রসূত, কুরুচিপূর্ণ, অসত্য ও অযাচাইকৃত তথ্যের মিশেলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানিকর এমন খবর প্রকাশ সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা পরিপন্থী। দেশের প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।”
বিএফইউজে’র যুগ্ম-মহাসচিব আবদুল মজিদ স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে শীর্ষ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত ওয়েবপেইজ ও নিউজ পোর্টালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃক্ষের বিরুদ্ধে সরকারকে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এদিকে, মানহানির শিকার তিন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, কুচক্রী ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা বিশেষ মহল অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে তাদের মান-সম্মানের বিশেষ ক্ষতি সাধন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, অপমান-অপদস্থ, ভাবমূর্তি ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করতেই তাদের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তবে, কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এমন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কল্পনা প্রসূত, কুরুচিপূর্ণ, অসত্য ও মিথ্যার বেসাতি সাজিয়ে তাদের সম্মানহানি করছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কাউকে দায়ী করতে পারেননি তিন সিনিয়র সাংবাদিক।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে কয়েকটি ওয়েবসাইট এই অপপ্রচার চালিয়েছে সেগুলোতে সম্পাদক ও প্রকাশকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ই-মেইলের মতো যোগাযোগের কোনো উপায় উল্লেখ নেই।
এদিকে, ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা আইনের আশ্রয় নিয়ে সাধারণ ডাইরিতে বলেছেন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ মিথ্যে অপপ্রচার পোস্ট, শেয়ার, লাইক ও কমেন্ট করছেন তারাও আসামী হিসেবে গণ্য হবেন। তাদের দাবি আইন অনুযায়ী অসত্য, অযাচাইকৃত, মানহানিকর, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ছবি ও তথ্য প্রকাশ করে তারাও সমপরিমাণ মানহানি করেছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মানহানির শিকার তিন সাংবাদিক আইসিটি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং বাংলাদেশ দন্ডবিধির আলোকে আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা