অনলাইন ডেস্ক
রোববার (২৯ আগস্ট) ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে শনিবার রাতে হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধের বরাতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছিলো, তার (ক্যাপ্টেন নওশাদ) অবস্থা গুরুতর। তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন। তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি কোমায় আছেন। রবিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে পাবিবারিক সূত্রটি অপরাজেয় বাংলাকে জানায়, চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্টটি খুলে না দিলেও শেষ কথা বলে দিয়েছেন। তার মস্তিষ্কের অর্গ্যানগুলো কাজ করছে না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ড. আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে দ্রুত মৃতদেহ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।
বাংলাদেশ পাইলট এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি একজন দক্ষ পাইলট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া সত্তেও তিনি দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। তার প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিজি-২২ নিয়ে ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন ক্যাপ্টেন নওশীদ। পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি আঁচ করতে পারেন বিমানের সেকেন্ড পাইলট। পড়ে দ্রুতগতিতে বিমানটি ভারতের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেন।পরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে আট সদস্যের বিশেষ টিম নাগপুর যায়। রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ওই ফ্লাইটটি যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা