অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার দেশটির সরকার জানায়, তারা অন্তঃসত্ত্বা শার্লটের জন্য কোয়ারেন্টাইন স্পট এবং ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। নিউজিল্যান্ডে কোভিডকালীন সীমান্তে কড়া বিধিনিষেধের কারণে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেনি অন্তঃসত্ত্বা এই সাংবাদিক। এরপর তিনি তালেবানের কাছে সাহায্য চান।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের শীর্ষ গণমাধ্যম ‘নিউজিল্যান্ড হ্যারাল্ড’ এ তার লেখা কলামে দেশটির সীমান্তে কড়াকড়ি অবস্থা এবং তার এই শারীরিক অবস্থার মধ্যেও দেশে প্রবেশ করতে না পারার ক্ষোভ উল্লেখ করেন। এই লেখার পর নজরকাড়ে কর্তৃপক্ষের। শার্লট তার লেখায় নারীদের অধিকার নিয়ে নিজ দেশের সাথে আফগানিস্তানের অবস্থার তুলনা করে বলেন, তালেবানরা তাকে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলো, ‘লোকজনকে কেবল জানাবেন আপনি বিবাহিত। এরপরও যদি কোনো অসুবিধা হয়, আমাদের ডাকবেন। দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’
বেলিস এবং তার সঙ্গী বেলজিয়ান ফটো সাংবাদিক গত বছর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সংবাদ কাভার করেছিলেন। তাদের কাছে একটি দেশেরই ভিসা ছিলো।
নিজ দেশে কোয়ারেনটাইন বাধ্যবাধ্যকতার কারণে প্রবেশ করতে না পেরে তারা তালেবানের কাছে সাহায্য চায়। এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করলে নিউজিল্যান্ড সরকার তাদেরকে দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানায়।
যদিও বেলিসকে আফগানিস্তানে প্রবেশে অনুমতি দেয়ার ঘটনা তার সাথে তালেবানদের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
গত বছর ক্ষমতা দখলের পর থেকে নারীদের অধিকারহরণ, শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ ঘোষণা করা, কর্মক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতাসহ নারীদের বিরুদ্ধে নানান আচরণের বিপরীতে শার্লট বেলিস যে কি না অবিবাহিত অন্তঃসত্ত্বা নারী, তাকে তালেবানের সমর্থন করার বিষয়টি নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা