অনলাইন ডেস্ক
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন এসব কথা বলেন। দেবাশীষ বর্ধণ বলেন, ‘হাজী মুসা ম্যানসনে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল আছে। এগুলো অবৈধ কেমিক্যালের দোকান। আমার জানামতে ফায়ার সার্ভিস এদের কোনো ধরনের লাইসেন্স দেয়নি। তবে আমি জানি না, সিটি করপোরেশন তাদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে কি না।’
‘সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এ কেমিক্যাল গোডাউন গড়ে উঠেছে। নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউন আর উপরে মানুষের বসবাস, এর মানে অগ্নিকুণ্ডে বসবাস করা ছাড়া আর কিছুই না। এজন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ কেমিক্যালগুলো কী ধরনের? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে এগুলো হ্যাজার্ডিয়াস কেমিক্যাল। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে এখানে। এগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে কঠিন হ্যাজার্ডিয়াস কেমিক্যাল। আমরা যখন ঘটনাস্থলে প্রথম আগুন নেভাতে আসি কেমিক্যালগুলোর জন্য অনেক সমস্যা হয়েছে। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কেমিক্যাল খোলা রাখা হয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি। যারা কেমিক্যালগুলো এখানে রেখেছেন, এই মৃত্যুর জন্য তারা দায়ী।’ আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে দেবাশীষ বর্ধণ বলেন, ‘এটা তদন্তের পর জানা যাবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তদন্ত করে বলতে পারবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে।’ তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দুজন ভিকটিম অর্থাৎ একজন নারী ও তিন জন পুরুষ মারা গেছেন। এছাড়া আমাদের তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আর দু’জন পঙ্গু হাসপাতালে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, এটি অপরিকল্পিত কেমিক্যাল মার্কেট। এ ভবনে আমরা কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে পাইনি। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে হাজী মুসা ম্যানশন নামের ওই ভবনটির নিচতলায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন।
সকাল ৯টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালটির আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, ‘এ পর্যন্ত ২১ জন আসছে, তাদের সবার কেমিক্যালের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। একজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৪ কর্মী আহত হয়েছেন এবং উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষ বলে সকাল ১০টার দিকে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ফজলুর রশিদ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা