জিপি-রবির কাছে সরকারের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা পাওনার দাবির মধ্যে থাকা বিলম্ব ফি ছাড় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জিপি-রবির অডিট ইস্যুতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের উদ্যোগে হওয়া দ্বিতীয় বৈঠকে বিলম্ব ফি ছাড় দিয়ে মূল টাকা চাওয়ার এই আলোচনা হয়।
বুধবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অডিট যাচাই-বাছাইয়ে কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দেয় অপারেটর দুটি।
কিন্তু সরকার সে পথে হাঁটবে কিনা সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, টাকা মাফ করার কোনো প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া অপারেটররা টাকা মাফ চায়ও না। তারা চায় গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অপারেটররা এক টাকা আয় করলে সেখান থেকে সরকার ৫৩ পয়সা পায়। যত ব্যবসা, তত সরকারের রাজস্ব। তাহলে আমরা সেই সুযোগ নেব না কেন?
তিনি বলেন, তাদের আটকে দিলে তো তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
বুধবারের ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, নীতিগতভাবে একমত হয়েছি যে তারা মামলার পথে যাবে না। আমরাও মামলার পথে যাব না।
বুধবারের বৈঠক শেষে গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানায়, অমীমাংসিত অডিটের নিস্পত্তি করার জন্য একটি স্বচ্ছ গঠনমূলক প্রক্রিয়ায় একমত হবার জন্য দ্বিতীয়বার বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তারা। কিন্তু লাইসেন্স সংক্রান্ত নোটিশসহ বিটিআরসির আরোপিত অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল থাকায় জিপি উদ্বিগ্ন| গত সপ্তাহের মিটিংয়ে সরকারের সাথে তারা নীতিগতভাবে যেসব বিষয়ে একমত হয়েছেন সেটিকে সামনে রেখে একটি স্বচ্ছ সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে চালিয়ে যাবে অপারেটরটি।
গ্রামীণফোন ও রবির কাছে বিটিআরসি পাওনা দাবি করছে ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ও রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ টাকা আদায়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর দুই অপারেটরকে লাইসেন্স (টুজি ও থ্রিজি) বাতিল কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জবাবের সময় ৩০ দিন। আগামী ৩ অক্টোবর ওই সময় শেষ হওয়ার কথা।
আর মধ্যে দৃশ্যপটে হাজির হন অর্থমন্ত্রী। গত সপ্তাহের বুধবার দুই পক্ষকে নিয়ে এক বৈঠক করে তিনি বলেন, বিষয়টি সুরাহা হবে আলোচনার মাধ্যমে।
পর দিনই অর্থমন্ত্রীকে এ বিষয়ে চিঠি দেয় গ্রামীণফোন। যার কপি যায় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানের কাছেও।
চিঠিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন চায় পাওনা নিয়ে বিরোধটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে, স্বচ্ছতার সঙ্গে ও দ্রুত সুরাহা হোক। তারা সালিস আইনের অধীনে সালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি চায়। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির একটি প্রক্রিয়া খুঁজে বের করতে হবে।
টেক শহর
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা