অনলাইন ডেস্ক
শুরুতেই পাকিস্তানি পেস বোলারদের চাপের মুখে পড়েন ভারতীয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। বৃষ্টি বাধার পর মাঠে নেমে ভারতকে যেন আরও চেপে ধরে পাক বোলাররা। বৃষ্টির পর দলের খাতায় কোন রান যোগ করার আগেই বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২২ বলে ১১ রান করা রোহিতকে ফেরান ডানহাতি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি। এর এক ওভার পরেই শাহীন আফ্রিদির বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান ভিরাট কোহলিও।
চার নম্বরে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন সদ্য দলে ফেরা শ্রেয়াস আইয়ার। তবে তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি হারিস রউফ। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে থাকা ফখর জামানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২ চারের সাহায্যে ১৪ রান করেন আইয়ার।
ইশান কিষানকে নিয়ে চাপ সামলানোর আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন শুরুর থেকেই ধুঁকতে থাকা ব্যাটার শুভমান গিল। হারিস রউফের ইন সুইং ডেলিভারি ব্যাটে লেগে বল আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ৩২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন গিল। ৬৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। সেই বিপর্যয়ের জায়গা থেকে ভারতকে বড় রানের ইনিংস গড়ার সুযোগ করে দেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ইশান কিষান।
১৩৮ রানের জুটি গড়তে গিয়ে শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, আঘা সালমানকে তুলোধুনো করেন ভারতীয় দলের এই দুই ব্যাটার। তবে আশা জাগিয়ে একজনও যেতে পারেননি সেঞ্চুরির কাছে। হাত খুলে মারতে গিয়ে হারিস রউফের বলে ক্যাচ তুলে ৮২ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইশান। হার্দিকও মারমুখী হয়ে ৮৭ রানে থেমে যান। শাহীন শাহ আফ্রিদির স্লোয়ার বল কাভারে খেলতে গিয়ে আগা সালমানে হাতে তালুবন্দি হন হার্দিক।
হার্দিককে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দিয়ে ওভারের শেষ বলে শাহীন তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজার উইকেট। এরপর আর কেউ খেলতে পারেনি বড় কোনো ইনিংস। শার্দুল ঠাকুর ৩ রান, কুলদ্বীপ যাদব ৪ রান, এবং জাসপ্রিত বুমরাহ ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরলে ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট ভারত।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। এছাড়াও হারিস রউফ এবং নাসিম শাহ নেন ৩টি করে উইকেট।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা