ঝাড়খণ্ডে ৮১ আসনে বিজেপির ২৫
হার স্বীকার করে নিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এদিন তিনি ঝাড়খণ্ডের মানুষকে গত পাঁচ বছর ধরে সেবা করার সুযোগ দেবার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অমিত শাহ বলেছেন তিনি জনাদেশকে সম্মান করেন।
সোমবার ফলপ্রকাশের পরে দেখা গেল, ৮১ আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে এসেছে ২৫টি। গত বারের থেকে ১২টি কম। বিজেপি ছেড়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়ানো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা সরযূ রাইয়ের কাছে হেরেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস।
অমিত শাহ টুইট করে বলেন, “আমরা ঝাড়খণ্ডের মানুষের আদেশ মেনে নিচ্ছি। গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপিকে সেবা করার সুযোগ দেবার জন্য আমরা মানুষকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। বিজেপি রাজ্যের উন্নয়নের ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ। দলের কর্মীরা যে পরিশ্রম করেছেন, তার জন্য তাঁদেরও ধন্যবাদ দিচ্ছি।”
এদিকে রাজ্যের ভোটে দলের হারের ব্যাপারে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এ পরাজয় বিজেপির নয়, তাঁর। রাঁচিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের ট্রেন্ড অনুসারে রঘুবর দাস জামশেদপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিদ্রোহী প্রতিদ্বন্দ্বী সরযূ রায়ের থেকে ১০ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন। ৮১ আসনের বিধানসভায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ৪৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২৫টি আসনে।
বিজেপি ৭৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। একটি আসনে তারা নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করেছে, আজসুর সভাপতি সুদেশ মাহাতোর বিরুদ্ধে তারা কোনও প্রার্থী দাঁড় করায়নি।
নরেন্দ্র মোদির মতোই রাজ্যে নয় বার প্রচারে এসেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ নিজেও। দু’জনেই প্রচার করেছেন কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ, রামমন্দির নির্মাণ, তিন তালাক রদ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু করার সাফল্য গাথা। কিন্তু ভোটের ফল বলছে, সেই প্রচারকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে হেমন্তের ‘জল-জঙ্গল-জমি’-র অধিকারের লড়াই।
বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছে, মোদি-শাহ যে-সব জায়গায় জনসভা করেছিলেন, তার বেশির ভাগ এলাকাতেই দল হেরেছে।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা