অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সড়কের উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধনের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো। এই অঞ্চলের মানুষের এখন আর সেই আগের মতো দুঃখ থাকবে না। তাছাড়া এখানে নাসিরনগরের সাথে সংযোগ হয়ে যাচ্ছে। নাসিরনগর ধরেও ঢাকা চলে আসা যাবে, আবার ভৈরব থেকেও আসা যাবে। সব দিক থেকে যোগাযোগের চমৎকার ব্যবস্থা করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের মানুষ বর্ষাকালে নৌকায় যাতায়াত করতেন, কিন্তু শুকনা মৌসুমে পায়ে হাঁটা ছাড়া যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা তেমন ছিল না। সেজন্য এলাকায় একটা কথা প্রচলিত ছিল বর্ষায় নাও শুকনায় পাও। আজকে আর সেটা না, এখন আর দুই পায়ে হাঁটতে হবে না। এখন গাড়ি, ঘোড়া সবই চলবে, সেই ব্যবস্থাটা করা হয়েছে।’
২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক প্রকল্পের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৮৭৪.০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটি নির্মাণ করেছে। হাওরের বুক চিরে চলে যাওয়া ২৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ অলওয়েদার সড়কে ৫৯০.৪৭ মিটার দীর্ঘ তিনটি পিসি গার্ডার, ১৯০ মিটার দীর্ঘ ৬২টি আরসিসি বক্স কালভার্ট, ২৬৯.৬৮ মিটার দীর্ঘ ১১টি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।
এরমধ্যে ২৬১.৮১ মিটার দীর্ঘ ভাতশালা সেতু, ১৭১.৯৬৪ মিটার ঢাকী সেতু ও ১৫৬.৭২ মিটার দীর্ঘ ছিলনী সেতু সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্ষায় ভাঙন থেকে সড়ক রক্ষায় ৭.৬০ লাখ বর্গমিটার সিসি ব্লক দিয়ে স্লোপ প্রটেকশনের কাজ করা হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা