সোমালিয়ার রাজধানী মুগাদিসুতে গাড়ি বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ তে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে কর্মব্যস্তময় মোগাদিসুতে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি তল্লাশি কেন্দ্রে ভয়ানক গাড়িবোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
দেশটির আমিন অ্যাম্বুলেন্সের প্রতিষ্ঠাতা আব্দিকাদির আব্দিরাহমান হাজি আদেনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এ হামলায় অন্তত ৬১ জন নিহত এবং অন্তত ৫১ জন আহত হয়েছেন।
হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে রয়টার্সকে জানান আদেন।
বিষ্ফোরণে আহতের সংখ্যা ৯০ বলে নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছেন মোগাদিসুর মেয়র ওমর মাহমুদ। ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। এছাড়াও নিহতদের মধ্যে বিদেশি নাগরিকও আছেন বলে দাবি করেন তিনি।
মুগাদিসুর পুলিশ কর্মকর্তা ইব্রাহীম মোহাম্মেদ বিবিসিকে জানিয়েছেন, সকালে চেপোস্টে গাড়ি বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই ২০ জনের বেশি নিহত এবং বহু মনিুষ আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত কাছের মদিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী সাবদৌ আলী এএফপিকে জানান, বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই আমি। এ সময় ১৩ জনের মৃত দেহ দেখতে পাই।
তিনি যোগ করেন, এক বিভৎস দৃশ্য ছিল সেটি। অসংখ্য মানুষকে সাহায্যের জন্য কাতরাতে দেখেছি। এরপরই গুলি ছোড়ার শব্দ শুনতে পাই। আমি নিরাপদে ঘরে চলে আসি।
এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো সংগঠন।
তবে সরকারি কর্মকর্তারা হামলার পেছনে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট আল–শাবাবকে সন্দেহ করছেন।
দেশটিতে বেশ কয়েক বছর ধরে জঙ্গিগোষ্ঠী আল–সাবাহ এ ধরনের হামলা চালিয়ে আসছে।
সোমালিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে উৎখাতে আফ্রিকান এ জঙ্গিগোষ্ঠীটি প্রায়ই এ ধরনের হামলা চালায়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা