অনলাইন ডেস্ক
কক্সবাজারে সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা ধরনের মাছ। পাইকারিতে ইলিশের দাম কিছুটা কম থাকলেও খুচরা বাজারে দাম এখনো বেশি। তেলসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক পণ্যে দাম বাড়ায় এবং চোরা পথে ভারতে মাছ পাচারের কারণে ইলিশের দাম বাড়তি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তেলের দাম কমানো ও দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে ইলিশ রপ্তানির দাবি তাদের।
কক্সবাজারের নুনিয়াছটা ফিশারিঘাটের জেলেরা ডিঙ্গি নৌকায় করে ট্রলারের ইলিশ তুলে ফিশারী ঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসছে। অনেক দিন পর ফিশারিঘাটে মৎস্য শ্রমিকদের যেমন ব্যস্ততা বেড়েছে তেমনি বেড়েছে বরফ ভাঙার শ্রমিকদের ব্যস্ততা।
মজুদ করে বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। এ কারণে এখনও কাঙ্খিত দামে বাজারে মাছ না পাওয়ার অভিযোগ তাদের।
এছাড়া সাগরে ভারতের জেলেদের মাছ শিকার, তেলসহ আনুসাঙ্গিক পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং চোরাই পথে ভারতে মাছ পাচারের কারণে ইলিশের দাম বাড়তি বলে জানিয়েছে ফিশিং বোট মালিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জেলেরা। চোরাই পথে ইলিশ পাচার বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কক্সবাজার ইলিশ ব্যবসায়ী ও মৎস্য ঐক্য সমবায় সমিতির প্রধান উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন জানিয়েছে, ইলিশ মাছের পাচার রোধে নজরদারী বাড়ানোসহ ভোক্তাদের কাছে পর্যাপ্ত মাছ পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এখারে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮৫০ টাকায়। এছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৪০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং ১ কেজির বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়।