অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান। দুদকের গণমাধ্যম শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক ফারহানুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানাধীন রামদয়াল চরআলগী এলাকায়। ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করেন। দীর্ঘদিন ছিলেন মিরপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে। গত বছরের ২ নভেম্বর তিনি নোয়াখালী সার্কেলে বদলি হন। বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গচ্ছিত রাখার জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইউসিবিএল ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং আইডিএলসিতে সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব ও ক্রেডিট কার্ড হিসাবসহ মোট দশটি হিসাব খুলে ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব অর্থের কোনও বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।
ফারহানুল ছয়টি হিসাবে ঘুষ, দুর্নীতি ও অবৈধভাবে অর্জিত ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন করেন। তিনি ২০১২ থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ছয় বছর আট মাসে ছয়টি ব্যাংক হিসাব খোলেন। এর মধ্যে একটি ব্যাংকের গুলশান শাখার সঞ্চয়ী হিসাবেই জমা করেন ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
এছাড়া একই শাখার চলতি হিসাবে ১৪ লাখ, ওই ব্যাংকের ভিসা ক্রেডিট কার্ডের হিসাবে ১৮ লাখ, মাস্টার ক্রেডিট কার্ড হিসাবে ২৮ লাখ ও তার ভাই রায়হানুল ইসলামের নামে একই শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে ১ কোটি ১৩ লাখ, আরেকটি ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী হিসাবে ১১ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
মা লুৎফুন নাহারের নামে একটি ব্যাংকের মিরপুর-১০ সার্কেল শাখার একটি সঞ্চয়ী হিসাবে এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গৃহঋণ হিসাবে ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে রায়হানুল ইসলাম ও তার পরিবার সদস্যদের ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব অর্থের কোনও বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তারা।
দুদক সূত্র জানায়, মামলার তদন্তে আরও তথ্য পাওয়া গেলে সেসব যোগ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা