ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা সম্রাটের চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের একটি অস্থায়ী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আফজালুর রহমান।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
ডা. আফজালুর রহমান বলেন, ‘তার চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের পর্যবেক্ষণে সম্রাটের চিকিৎসা চলছে। বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বর্তমান অবস্থা বোঝা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্রাটের বুকের একটি বাল্ভ আগে থেকে রিপ্লেসমেন্ট ছিল। সে কারণে তিনি কারাগারে ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।’
কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে ওই সেলে থাকা অবস্থায় সম্রাটের বুকে ব্যথা শুরু হয়। এমনিতেই আগে থেকেই তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। তখন আমাদের কারা চিকিৎসকরা দ্রুত তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। চিকিৎসা নেওয়ার সময় সম্রাটের প্রেসার খুবই লো দেখাচ্ছিল। পরে দ্রুত আমরা কারাগারের মাইক্রোবাসযোগে কারারক্ষীদের প্রহরায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে হাসপাতালে নিয়ম অনুযায়ী জরুরি বিভাগ থেকে তার নাম দিয়ে একটি টিকিট কাটা হয়। পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে, তিনি দ্রুত নতুন ভবনের তিনতলায় কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেফার করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের নির্দেশক্রমে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে দ্রুত ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন।’
বুকে ব্যথা অনুভব করলে সকাল সাড়ে ৭টায় সম্রাটকে কারাগার থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর ঢামেক চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা